বিএনপি নেতা আবু বকরের জানাজায় মানুষের ঢল

Looks like you've blocked notifications!
যশোরের কেশবপুর শহরের ঐতিহাসিক পাবলিক ময়দানে বিএনপি নেতা আবু বকর আবুর (ইনসেটে) জানাজা হয়। ছবি : এনটিভি

যশোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর আবুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

কেশবপুর শহরের ঐতিহাসিক পাবলিক ময়দানে আবু বকর আবুর জানাজা হয়। এতে অংশ নিতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। জায়গা না পেয়ে অনেককে ফিরে যেতে দেখা যায়। জানাজা শেষে কেশবপুরের বাগদহা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে আবু বকরকে দাফন করা হয়।

এর আগে গতকাল শুক্রবার দুপুরে আবু বকরের মরদেহ ঢাকা থেকে নিজ গ্রাম বাগদহায় পৌঁছালে সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ ও আত্মীয়স্বজনের আহাজারিতে হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। চলতে থাকে শোক।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য আবু বকর আবু গত ১২ নভেম্বর ঢাকায় যান এবং নয়াপল্টনের মেট্রোপলিটন হোটেলের চতুর্থ তলার ৪১৩ নম্বর রুম ভাড়া করে অবস্থান করেন। তিনি দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন এবং জমা দেন। সাক্ষাৎকারের আগেই ১৮ নভেম্বর রোববার রাত ৮টার দিকে নয়াপল্টন থেকে নিখোঁজ হন। পরের দিন ১৯ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ বুড়িগঙ্গার চর খেজুরবাগ বেবী সাহেব ডকইয়ার্ড সংলগ্ন পানি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ওই দিন রাতে লাশ সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। ২২ নভেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের ফেসবুক আইডিতে ওই লাশের ছবি দেখে আত্মীয়স্বজনরা আবু বকর আবুর লাশ বলে শনাক্ত করে।

শুক্রবার দুপুরে আবু বকরের লাশ বাগদহা গ্রামে পৌঁছালে সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে মাতম শুরু হয়। বাড়ির আঙিনাসহ আশপাশে হাজার হাজার মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় কেশবপুর শহরের ঐতিহাসিক পাবলিক ময়দানে আবু বকর আবুর জানাজা হয়। জানাজায় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক সাবেরুল হক সাবু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, কেশবপুর পৌর সভার মেয়র রফিকুল ইসলামসহ জেলা ও কেশবপুর বিএনপি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সুশীল সমাজের হাজার হাজার মানুষ জানাজায় অংশ নেন।

জানাজার আগে স্থানীয় সাংসদ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের পক্ষে, কেন্দ্রীয় বিএনপি, জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠন, কেশবপুর আওয়ামী লীগ, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ, পুলিশ প্রশাসন, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ আবু বকরের কফিনে ফুল দেওয়া হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা অনিন্দ ইসলাম অমিত, সাবেরুল হক সাবু ও আবুল হোসেন আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান।

আবু বকর আবু ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০১১ ও ২০১৬ সালে মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চার বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮২ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যশোর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন।