চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে বাধা ব্লাড ক্যানসার! প্রয়োজন ৭ লাখ টাকা

Looks like you've blocked notifications!

অর্থাভাবে নিভে যাচ্ছে ফাতেমা আক্তার রেমি (১১) নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিশুর জীবনপ্রদীপ। ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে প্রায় আট লাখ খরচ করে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এসব টাকাই গ্রামের ও শহরের লোকজনের সহযোগিতায় চিকিৎসা চালিয়েছেন। আরো কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু পরিবারের কাছে এ মুহূর্তে কোনো টাকাপয়সা নেই। রেমি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. আতিকুল আলমের অধীনে চিকিৎসাধীন। এমন পরিস্থিতিতে আর পথ না পেয়ে সমাজের হৃদয়বানদের আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন শিশুটির মা।

পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই বোনের মধ্যে রেমি নাটোরের বনলতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তারা দুই বোন। রেমি বড়। জন্মের কিছুদিন পর রেমির বাবা মারা যায়। এর পর থেকে নানির বাড়িতে মায়ের সঙ্গে জীবনযাপন করছে। ২০১৬ সালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়। পরীক্ষা শেষে ধরা পড়ে তার শরীরে মরণব্যাধি ব্লাড ক্যানসার। এ মরণব্যাধি অসুখের কথা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা পরিবারটির। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ব্যয়বহুল এ চিকিৎসার জন্য কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। চিকিৎসা করাতে পারলে সে সুস্থ হয়ে যাবে। সেই থেকে শিশুটির জীবন বাঁচাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন রেমির মা তানিয়া আক্তার আঁখি। বিভিন্ন বিত্তবানের দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি সমাজের প্রত্যেক মানুষের কাছে হাত বাড়িয়েছেন। গত বছর ফাতেমা আক্তার রেমি পঞ্চম শ্রেণিতে জিপিএ ৩.৫০ পেয়েছে। তার স্কুলশিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরাও চেষ্টা চালাচ্ছে রেমির জীবন বাঁচাতে সহযোগিতার।

এ বিষয়ে শিশু রেমির মা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার মেয়ে বাঁচতে চায়, সে পড়ালেখা করে ডাক্তার হতে চায়। মানুষ হতে চায়। ওর বাবা মারা যাওয়ার কারণে আমি আরো অসহায়। সমাজের বিত্তবানদের একটু সহযোগিতা আমার মেয়ের জীবন বদলে দিতে পারে।’

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : বেসিক ব্যাংক, নাটোর শাখা-সঞ্চয়ী হিসাব নং-৫৫১৪০১০০০৬২২২, বিকাশ নম্বর : পার্সোনাল ০১৭৫৬৬০১৬২২।