গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি : ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
আজ বুধবার ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : এনটিভি

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায় প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি চক্রান্তের প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি এই রায়ের মধ্য দিয়ে। নির্বাচনের আগে এ ধরনের রায় দূরভিসন্ধি, জনগণ তা মেনে নেবে না। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে, এই দেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেই আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।’

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, নির্বাচনে জনগণের জাগরণের কাছে গণতন্ত্র বিজয়ী হবে এবং স্বৈরাচারীর পতন হবে। খুব দ্রুত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে বরাবরই আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। কারণ আমার বাড়ি এখানে। আমার মানুষ এখানে। আমি এখানে নির্বাচন করি। জয়-পরাজয় কখনো মনে করি না। আমি এখানকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেই।

ঠাকুরগাঁও-১ আসন ছাড়াও বগুড়া-৬ আসনে খালেদা জিয়ার বিকল্প হিসেবে  মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মির্জা ফখরুল।

এর আগে দুপুর ১২টায় ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জননেত্রী শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমি ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। আওয়ামী লীগ ঠাকুরগাঁও-১ আসনসহ বাংলাদেশে যেভাবে উন্নয়ন করেছে এতে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও-১, ঠাকুরগাঁও-২ ও ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ২৬ জন।

এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মির্জা ফখরুল ও রমেশ চন্দ্র ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিল করেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো. আব্দুল জব্বার, ইসলামী ঐক্যজোট থেকে মো. রফিকুল ইসলাম ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) থেকে অ্যাডভোকেট বলরাম গুহ ঠাকুরতা।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সাতজন। এঁরা হলেন আওয়ামী লীগ থেকে আলহাজ দবিরুল ইসলাম, বিএনপি থেকে আবদুস সালাম, টিএম মাহবুবুর রহমান ও মো. জুলফিকার মর্তুজা চৌধুরী তুলা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা (স্বতন্ত্র) মো. আব্দুল হাকিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো. রেজাউল করিম ও জাকের পার্টি থেকে মো. সামসুজ্জোহা।

ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ১৩ জন। এঁরা হলেন বিএনপি থেকে জাহিদুর রহমান, জাতীয় পার্টি থেকে হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে ইয়াসিন আলী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে প্রভাত সমীর শাহজাহান আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে থেকে নাজিম উদ্দীন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) থেকে মো. এনামুল হক, স্বতন্ত্র হিসেবে ইমদাদুল হক, রাজেন্দ্র নাথ রায়, গোপাল চন্দ্র রায়, আবদুল জলিল ও আছির উদ্দীন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) থেকে শাফি আল আসাদ ও বিকল্পধারা বাংলাদেশ থেকে এস এম খলিলুর রহমান।