চুয়াডাঙ্গায় সোনা চোরাচালানের দায়ে যাবজ্জীবন

Looks like you've blocked notifications!
চুয়াডাঙ্গায় সোনা চোরাচালানের দায়ে কাওসার আলী নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। ছবি : এনটিভি

চুয়াডাঙ্গায় সোনা চোরাচালানের দায়ে কাওসার আলী নামের এক ব্যক্তিকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা আলামত রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ মামলার অপর আসামি আনিসুর রহমানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্পেশাল ট্রাইবুনাল-১ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ  মোহা. রবিউল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি কাওসার আলীর বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামে। বেকসুর খালাস পাওয়া আনিসুর রহমানের বাড়িও একই গ্রামে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দামুড়হুদার বাড়াদী ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যরা ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামে একটি চায়ের দোকানে ওৎ পেতে ছিলেন। একটি মোটরসাইকেলে করে দুজন আরোহী বিজিবি সদস্যদের দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে কাওসার আলী ও আনিসুর রহমানকে আটক করা হয়।  এ সময় কাওসার আলীর জ্যাকেটের পকেট থেকে ছয়টি সোনার বার উদ্ধার করে বিজিবি। যার ওজন ২ কেজি ৪০০ গ্রাম। মূল্য ১ কোটি ৪৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ সময় একটি ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল (যশোর-হ-১৩-৬৯৭৭) দাম দুই লাখ টাকা, দুটি মোবাইল ফোন দাম ৪ হাজার টাকা ও নগদ ৫২৬ টাকাসহ মোট ১ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৫২৬ টাকার মালামালসহ থানায় মামলা করা হয়।

এ বিষয়ে বাড়াদী ক্যাম্পের জেসিও নায়েক সুবেদার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক মোহা. রবিউল ইসলাম বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সালের ২৫ (বি) (১)(এ) ধারায় কাওসার আলীকে দোষী সাব্যস্ত করে আজ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।