বাংলাদেশ নেতা উৎপাদনের বিরাট কারখানা : সেতুমন্ত্রী
বাংলাদেশ এখন নেতা উৎপাদনের বিরাট কারখানা মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এখানে এখন নেতার বাম্পার ফলন হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন যে কেউ মাইক হাতে নিলেই নেতা হয়ে যায়। তাই ব্যানার-পোস্টার লাগানোর জন্য কোনো কর্মী পাওয়া যায় না।’
আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে চিটাগং টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। রাজনীতিতে এসব হাইব্রিডদের প্রতিহত করতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদের স্টিকার লাগিয়ে অনেক ভিআইপির আত্মীয়স্বজন রাস্তার রং সাইডে গাড়ি চালায়, ট্রাফিক আইন মানে না। কয়েকদিন আগে এই বিষয়ে তিনি স্পিকারকে অভিযোগ জানিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও তাঁদের পরিবার প্রত্যেক ক্যাটাগরির জন্য আলাদা স্টিকার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। এ উদ্যোগের জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
একই রকমভাবে অনেকেই সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বা ভুয়া স্টিকার ব্যবহার করে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে, নিয়ম মানে না। এসব ভুয়া সাংবাদিককে প্রতিহত করতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের মধ্যকার রাজনৈতিক মতাদর্শের বিভক্তি সাংবাদিকতা পেশাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। রাজনীতির নামে এই বিভেদের দেয়াল আর উঁচু না করে সবার মধ্যে সম্পর্কের সেতু নির্মাণের তাগিদ দেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে বিভিন্ন পেশাজীবীদের মাঝে মতভিন্নতা থাকলেও কর্মসম্পর্ক ভালো রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া সাংবাদিকতাকে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের জন্য ঝুঁকিভাতা ব্যবস্থা করা যায় কি না তা সরকার বিবেচনা করবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
চিটাগং টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুল হক হায়দরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরোয়ার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন চেীধুরী, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ বক্তব্য দেন।