রাঙামাটিতে পিসিপি ও যুব সমিতির বিক্ষোভ

পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে ৭ অক্টোবর ছাত্র ধর্মঘট

Looks like you've blocked notifications!
রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির বিক্ষোভ মিছিল। ছবি : এনটিভি

শিক্ষক নিয়োগসহ পার্বত্য জেলা পরিষদের সব দুর্নীতি বন্ধ ও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সব কার্যক্রম স্থগিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে আজ বুধবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের প্রক্রিয়ায় অংশ হিসেবে আগামী ৭ অক্টোবর পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে ছাত্র ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

আজ বুধবার সকালে সংগঠন দুটির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচি শেষে দাবি প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি অন্তিক চাকমা সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি টোয়েন চাকমা।

স্বাগত বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক অরুন ত্রিপুরা। স্মারকলিপি পাঠ করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা রিন্টু চাকমা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও দীর্ঘ ১৮ বছরের চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এই ক্ষোভ যেকোনো মুহূর্তে বিস্ফোরিত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত হয়ে যেতে পারে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য  পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

বক্তারা আরো বলেন, জনগণের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও সরকার জোর করে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং ভূমি অধিগ্রহণের নামে জুম্মদের স্বভূমি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে। তাই সামগ্রিক স্বার্থে চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই দুটি প্রতিষ্ঠান স্থগিত রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা।

বক্তারা বলেন, চুক্তির ফলে যে জেলা পরিষদ পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ পেয়েছে, সে চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় জেলা পরিষদগুলো দুর্নীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ সেখানে গণতন্ত্র চলে না, চলে আওয়ামী লীগতন্ত্র।  শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মান বেহাল অবস্থায় উপনীত হয়েছে দাবি করে তাঁরা বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলীয়করণ, কায়েমী স্বার্থবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে জনগণের প্রতিষ্ঠান আজ গণবিরোধী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুপ্রভা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি রাঙামাটি জেলা কমিটির ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক ত্রিজিনাদ চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙামাটি কলেজ শাখার সভাপতি আশিকা চাকমা।