সজ্ঞানে খারাপ ব্যবহার করি না : ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ

Looks like you've blocked notifications!
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস। ছবি : সংগৃহীত

নিজ প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে যান সাংবাদিকরা।

এ সময় অরিত্রি অধিকারী ও তাঁর বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেন নাজনীন ফেরদৌস।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসকে প্রশ্ন করেন, ‘অনেকদিনের অভিযোগ স্কুল কলেজের শিক্ষকরা আসলে মানবিক না। শিক্ষকদের আসলে কেমন হওয়া উচিত?’

উত্তরে নাজনীন ফেরদৌস বলেন, ‘ অবশ্যই মানবিক হওয়া উচিত, বাচ্চাদের প্রতি। বোঝাতে হবে, যে তুমি এ ধরনের অন্যায় করবা না, এটা খারাপ। অবশ্যই হওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘আমি সজ্ঞানে কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করি না। ’

অরিত্রির মৃত্যুতে আজ বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ জানিয়েছে।

তাদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে অধ্যক্ষ বলেন,  ‘সেটাও আমরা ব্যবস্থা করব। বাচ্চাদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করব। ওরা যা চায়, সেভাবেই ব্যবস্থা হবে। ওরা যেভাবে চায়, সেভাবেই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা পরীক্ষা দিতে পারছে না, ওরা আমাদের জানিয়েছে। যে আমরা পরীক্ষা দিতে পারছি না আজকে। আমাদের আরেক দিন পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আমরা সে ব্যবস্থা করেছি।’

এ সময় আরেক ছাত্রীর মা  কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘গার্ডিয়ান হিসেবে আমি একটু কথা বলি। এই ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে আমার বাচ্চা এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। আমি যেটা বলব, এখানে আমি ক্লাস ওয়ান থেকে পড়ানোর সময়, আমি এই স্কুলে বারবার বলেছিলাম যে, আমাদের বাচ্চাদের কাউন্সেলিংয়ের দরকার আছে। বিশ্বের প্রতিটা স্কুলে এই ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এই কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা কেন করছে না? আমরা অভিভাবকরা প্রশাসনের কাছে জিম্মি, বাসায় সন্তানের কাছে জিম্মি। তার কারণ একটা, আমাদের কাছ থেকে আমাদের বাচ্চাদের একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে। আমাদের বাচ্চার সঙ্গে যখন না পারি, তখন আমরা আমাদের স্কুলের প্রতি নির্ভর করি এবং স্কুলকে আমরা যখন এসে বলি যে, আমার বাচ্চার এই সমস্যা হয়েছে। বাচ্চার নৈতিক মূল্যবোধের জন্য কাউন্সেলিং। কোনটা ভালো, কোনটা নেগেটিভ। কোনটা পজিটিভ। সেই জিনিসটাই স্কুল করে না। আমরা বারবার বলেছি, আমার বাচ্চা সম্পর্কে কোনো অবজেকশন থাকলে আমাকে নোটিশ দেন। আমাদের ডেকে বলেন। আমাকে নোটিশ দেন।’