খালেদা জিয়ার ভোট, অপেক্ষায় রাখল ইসি

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন কি না, এ ব্যাপারে আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। তবে তা সঙ্গে সঙ্গে নিষ্পত্তি করে দেয়নি নির্বাচন কমিশন। শুনানি শেষে তা স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে ভোটের লড়াইয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ফিরতে পারবেন কি না, তা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

আজ শনিবার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিলের শুনানির শেষ দিনে খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের শুনানি একসঙ্গে করেন তাঁর আইনজীবী। কারাগারে থাকায় তিনি নির্বাচন কমিশনে হাজির হতে পারেননি। শুনানি শেষে আদেশ বিকেল পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করে ইসি।

খালেদা জিয়া ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেন। তবে তিনি দণ্ডিত হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করেন।গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাঁর পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল আবেদন করেন।

আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিলের শুনানি করেন তাঁর আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তিনি প্রায় ২০ মিনিট সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে যুক্তি তুলে ধরেন। এ সময় সেখানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদিন, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উদ্দিন খোকনসহ অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি শেষে বেরিয়ে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্বাচনকালীন আচরণবিধি বা অপরাধের যে ধারায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। কারান্তরীণ খালেদা জিয়া কীভাবে বিধি লঙ্ঘন করবেন তার বিরুদ্ধে যুক্তি দেওয়া হয়েছে। ইসি বিকেল ৫টায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে। আমরা আশাবাদী। আশা করি, এ ব্যাপারে ন্যায়বিচার পাব।’

গত বৃহস্পতিবার থেকে এই আপিল শুনানি শুরু হয়। এর মধ্যে প্রথম দিন ১৬০টি আবেদনের ওপর শুনানি করে ৮০ জনের প্রার্থিতাকে বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আর গতকাল শুক্রবার ১৫০টি আবেদনের ওপর শুনানি হয়। এর মধ্যে ৭৮ জন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।  পাশাপাশি এদিন ৬৫ জনের প্রার্থিতা বাতিল এবং সাতজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে নির্বাচন কমিশন। দুদিনে মোট ১৫৮ জন তাদের মনোনয়ন ফিরে পান। এতে ভোটের মাঠে তাদের লড়াইয়ের আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকল না।

মনোনয়নপত্র বাছাইকালে দুই হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এগুলোর মধ্যে বিএনপির ১৪১টি, আওয়ামী লীগের তিনটি এবং জাতীয় পার্টির ৩৮টি মনোনয়নপত্র রয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩৮৪টি। এর মধ্যে আপিলের আবেদন এসেছে ৫৪৩টি।

৩৯টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে এবার ৩০০ সংসদীয় আসনে তিন হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়ে মোট দুই হাজার ৫৬৭টি, আর স্বতন্ত্র ছিল ৪৯৮টি।

আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।