খুলনার ৬টি আসনে লড়বেন ৩৫ প্রার্থী

Looks like you've blocked notifications!

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনে মোট ৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে খুলনা-১ ও খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের সঙ্গে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীও রয়েছেন।

গতকাল রোববার মোট নয়জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। দলীয় প্রতীক নিশ্চিত না করায় মনোনয়নপত্র বিধি অনুযায়ী চারজন প্রার্থীকে বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

খুলনার ছয়টি আসনে মোট ৫১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে চারজনের প্রার্থিতা বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে আপিল করে একজন প্রার্থী প্রার্থিতা ফিরে পান।

রোববার খুলনা-১ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট ননী গোপাল মণ্ডল এবং ওয়ার্কার্স পার্টির গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। এ আসনে বর্তমানে  আওয়ামী লীগের পঞ্চানন বিশ্বাস, বিএনপির আমীর এজাজ খান, জাতীয় পার্টির সুনীল শুভরায়সহ মোট পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন।

খুলনা-২ আসনে মুসলিম লীগের এস এম ইসলাম আলী তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এই আসনে বর্তমানে সাতজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও আওয়ামী লীগের শেখ সালাহউদ্দিন।

খুলনা-৩ আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) আ ফ ম মহসীন ও বিএনপির এস এম আরিফুর রহমান মিঠু তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে এ আসনে আওয়ামী লীগের  মুন্নুজান সুফিয়ান ও বিএনপির রকিবুল ইসলামসহ পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন।

খুলনা-৪ আসনে মোট নয়জন প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির শরীফ শাহ কামাল তাজ, খেলাফত মজলিসের এস এম সাখাওয়াত হোসাইন ও জাতীয় পার্টির হাদিউজ্জামান তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এই আসনে বিএনপির আজিজুল বারী হেলাল, আওয়ামী লীগের সালাম মুর্শেদীসহ মোট ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন।

খুলনা-৫ আসনে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তবে বিধিবিধান অনুযায়ী বিএনপির মামুন রহমান ও গাজী আবদুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ আসনে মোট পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও বিএনপির হয়ে জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পারওয়ার।

খুলনা-৬ আসনে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে বিধি অনুযায়ী বিএনপির শফিকুল আলম মনা ও জাতীয় পার্টির মোস্তফা কামালের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। বর্তমানে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে অন্যতম জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, আওয়ামী লীগের আক্তারুজ্জামান বাবু ও জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।