দুলু-টুকুর মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু (বাঁয়ে) ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। ফাইল ছবি

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে টুকুর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। দুলুর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, ফিদা এম কামাল, আমিনুল হক হেলাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ আল আশাফুর আলী রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান। 

পরে আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, ‘ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর দুর্নীতির মামলায় সাজা হয়েছিল। হাইকোর্টে আপিল করে জিতলাম। পরে দুদক আপিল করার পর আপিল বিভাগ পুনঃশুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগে পাঠান। যখন হাইকোর্টে ২০০৯ সালে এসেছিলাম, তখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারা অনুসারে কনভিকশন ও সেন্টেন্স সাসপেন্ড করেছিলেন হাইকোর্ট। এ অর্ডারটা এখনো বহাল আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজকে জিতলাম।’

‘ওনার (টুকু) মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এখন তাঁর নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই। একেকটি আসনে রাজনৈতিকভাবে কয়েকজনকে প্রার্থী করা হয়েছে। এখন যদি কোনো প্রার্থী ওনার আসনে প্রত্যাহার করতে চান, তাহলে সেটাও গ্রহণ করতে হবে,’ যোগ করেন কিউসি।

সৈয়দ আল আশাফুর আলী রাজা বলেন, ‘আজকের আদেশের ফলে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই। ওনার (দুলুর) দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনে দণ্ড হয়েছিল। যেটা হাইকোর্টে সাসপেন্ড হয়ে আছে।’

এর আগে ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই করে নাটোর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মনোনয়ন বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা।

পরে এ দুই নেতা প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। কিন্তু আপিলেও টেকেনি মনোনয়ন। শেষে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিএনপির এই দুই প্রার্থী।