আতঙ্ক নয়, আস্থার পরিবেশ চায় কমিশন : সিইসি

Looks like you've blocked notifications!
আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে বিচারিক হাকিমদের উদ্দেশে কথা বলেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা। ছবি : এনটিভি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারিক হাকিমদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘আপনারা সাংবিধান ও আইনের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করবেন। সুতরাং সাংবিধানিক দায়িত্ব ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে মূলত আজ থেকেই নির্বাচনী ডামাঢোল শুরু হয়ে গেল। বাকিটা মাঠে আপনাদের দায়িত্ব। আপনি স্বাধীন, আপনি নিরপেক্ষ, আপনি বিচারক, বিচারকের মাইন্ড আপনাকে অ্যাপ্লাই করতে হবে।’

আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে বিচারিক হাকিমদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সিইসি।

আজ প্রথম ধাপে অংশ নিয়েছেন ২১৫ জন বিচারিক হাকিম। তিন ধাপে মোট ৬৪০ জন বিচারিক হাকিমকে ব্রিফ করবে কমিশন। ভোট গ্রহণের আগের দিন, ভোট গ্রহণের দিন এবং ভোট গ্রহণের পরের দুদিন নির্বাচনের মাঠে নিয়োজিত থাকবেন এই বিচারকরা।

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠুভাবে করবেন, সেটি আপনি আপনার মেধা, প্রজ্ঞা দিয়ে বিবেচনা করবেন। সংবিধান, জাতি, রাজনৈতিক দল ও ভোটারের কাছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনেরর জন্য কমিশন দায়বদ্ধ। এ সময় তিনি আস্থা অর্জনের জন্য নিরপেক্ষভাবে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।’

‘বৈষম্যের ঊর্ধ্বে থেকে রাগ-অনুরাগ প্রশ্রয় না দিয়ে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞা ও মেধা খাটিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে হবে। আতঙ্ক নয়, কমিশন চায় আস্থার একটি পরিবেশ।’

কোনো দল বা কারো পক্ষে নয়, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় কমিশন—উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেধা ও প্রজ্ঞার সঙ্গে হাকিমদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

এ সময় আরেক নির্বাচন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার বলেন, বিচারিক হাকিমদের সরব উপস্থিতি চায় কমিশন। কেউ শিথিলতা ও পক্ষপাতিত্ব করলে ১৯৯১ সালের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাহবুব তালুকদার বলেন, এবারের নির্বাচনে একটাই স্বপ্ন, কোনো প্রার্থী যেন ভোটের মাধ্যমে নিজের জয় নিশ্চিত না করে জাতীয় সংসদে আসতে না পারে।

দেশে আইনের শাসন না থাকলে, নির্বাচনের মাধ্যমে হলুদ গণতন্ত্র আসে। ভোটাররা ভোট দিয়ে যেন নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে, এমন পরিবেশ তৈরি করতে সবাইকে নির্দেশ দেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।