আপেল নিয়ে লড়বেন আ.লীগের সাবেক সাংসদ মোশতাক

Looks like you've blocked notifications!
নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনে আপেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ মোশতাক আহমেদ রুহী। পুরোনো ছবি : সংগৃহীত

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনে আপেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ মোশতাক আহমেদ রুহী।

নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ সোমবার দুপুরে মোশতাক আহমেদ রুহীসহ জেলার ২৬ প্রার্থীর হাতে প্রতীক তুলে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম।

২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-১ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোশতাক  আহমেদ রুহী। কিন্তু ২০১৪ সালে তিনি দলের মনোনয়ন পাননি। দলের মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন ছবি বিশ্বাস। এবার এ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন মোশতাক আহমেদসহ ২৬ জন।

এবার ছবি বিশ্বাস ও মোশতাক আহমেদ রুহীকে বাদ দিয়ে ছবি বিশ্বাসের বোনের জামাই নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মানু মজুমদারকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহ করেন মোশতাক। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। আজ প্রতীক বরাদ্দের দিনে তাঁর হাতে আপেল তুলে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

মোশতাক ছাড়া নেত্রকোনা-১ আসনে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মানু মজুমদার, বিএনপির ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সিপিবির মো. আলকাছ উদ্দিন মীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মামুনুর রশীদ।

এ ছাড়া জেলার অন্য চারটি আসনে চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থীরা হলেন, নেত্রকোনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের আশরাফ আলী খান খসরু, বিএনপির ডা. আনোয়ারুল হক, সিপিবির মোশতাক আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খোরশেদ আলী, জাকের পার্টির বরকত উল্লাহ ও বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সজীব সরকার রতন।

নেত্রকোনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের অসীম কুমার উকিল, বিএনপির রফিকুল ইসলাম হিলালী, ইসলামী ঐক্য জোটের এহতেশামুল সারোয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জাকির হোসেন, জাতীয় পার্টির জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া ও সিপিবির আনোয়ার হোসেন।

নেত্রকোনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের রেবেকা মমিন, বিএনপির তাহমিনা জামান শ্রাবণী, সিপিবির জলি তালুকদার ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোফাজ্জল হোসেন।

নেত্রকোনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীরপ্রতীক), বিএনপির আবু তাহের তালুকদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. শামীম হোসেন, মুসলীম লীগের এম আর মাসুদ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ওয়াহাব হামিদি।