দুলু-টুকুর মনোনয়নপত্র গ্রহণে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু (বাঁয়ে) ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু । ছবি : সংগৃহীত

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। ইসির করা আবেদনের ওপর আগামীকাল বুধবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার টুকু ও দুলুর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে টুকুর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। দুলুর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, ফিদা এম কামাল ও আমিনুল হক হেলাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ আল আশাফুর আলী রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।

পরে আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, ‘ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর দুর্নীতির মামলায় সাজা হয়েছিল। হাইকোর্টে আপিল করে জিতলাম। পরে দুদক আপিল করার পর আপিল বিভাগ পুনঃশুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগে পাঠান। যখন হাইকোর্টে ২০০৯ সালে এসেছিলাম, তখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারা অনুসারে কনভিকশন ও সেন্টেন্স সাসপেন্ড করেছিলেন হাইকোর্ট। এ অর্ডারটা এখনো বহাল আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজকে জিতলাম।’

এর আগে ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই করে নাটোর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মনোনয়ন বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
পরে এ দুই নেতা প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। কিন্তু আপিলেও টেকেনি মনোনয়ন। শেষে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিএনপির এই দুই প্রার্থী।