মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা, ৭ গাড়ি ভাঙচুর

Looks like you've blocked notifications!
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের দানারহাটের মাঠে রাখা ভাঙচুর হওয়া গাড়িগুলো। ছবি : এনটিভি

নিজের নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণার প্রথম দিনেই হামলার শিকার হলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের দানারহাটে তাঁর গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে সাতটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

হামলার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ উসকানি দিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। তার পরেও আমরা নির্বাচনে অংশ নেব।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের প্রার্থী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে আজ সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসেন। সেখান থেকে ১২টি গাড়ি নিয়ে সরাসরি ঠাকুরগাঁওয়ের বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের দানারহাটে আসেন। দুপুর ১টার দিকে বেগুনবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বনি আমিনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২০-২৫ নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে গাড়িবহরে হামলা চালায়। হামলার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সঙ্গে সঙ্গে গাড়িগুলো দানারহাটের একটি মাঠে নিয়ে রাখেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা জবাব দেওয়ার জন্য উত্তেজিত হয়ে পড়েন। কিন্তু বিএনপির মহাসচিব তাঁদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।

হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের একপাশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান করছেন। মাঠে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বসেছিলেন মির্জা ফখরুল। দানারহাটের রাস্তার ওপর পড়েছিল গাড়ির ভাঙা কাচ। রাস্তায় ছিলেন বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য।

বেগুনবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বনি আমিন হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আওয়ামী লীগের কেউ মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা চালায়নি। ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরাই এ হামলা চালিয়েছে।

এদিকে ঘটনার পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা সারা বাংলাদেশে ঘটছে। এখানে এসে আমি আমার দলের লোকজনকে উসকানিতে পা না দিতে বলেছি। এখানে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমার গাড়িগুলো ভেঙে দিয়েছে। উত্তেজিত লোকজনকে থামিয়ে, বসিয়ে রেখেছি। বাট আনফরচুনেটলি পুলিশের লোকজন এখানে আসতে অনেক দেরি করেছে। উচিত ছিল, তাদের সঙ্গে সঙ্গে আসা। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যারা উসকানি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।’

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের খবর পেয়েছি। তবে কারা ভেঙেছে, তা তদন্ত সাপেক্ষে তা বলা সম্ভব।’