ঝিনাইদহ-৩ আসনে বিএনপি-জামায়াতের ৪৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ওই আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জামায়াত নেতা অধ্যাপক মতিয়ার রহমানও রয়েছেন।

সদর উপজেলার ডাকবাংলো পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল বুধবার মামলাটি দায়ের করেন। বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঝিনাইদহ থানা পুলিশ।

মামলার অন্য আসামির মধ্যে রয়েছেন সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামাল আজাদ পান্নু, ঝিনাইদহ পৌর বিএনপির সভাপতি জাহিদুজ্জামান মনা ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ বিশ্বাস, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লা আল মামুন, শ্রমিক দলের নেতা আবু সাইদ শেখ, ছাত্রদলের সাবেক জেলা সভাপতি আশরাফুল ইসলাম পিন্টু প্রমুখ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা গ্রামের আনসার মণ্ডলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে সাজিদুর রহমান টুটুল, আবু সাইদ শেখ, বাবলুর রহমান ও আনার মণ্ডলকে আটক করা হয়।

আসামিরা নির্বাচনের সময় টহলরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এতে আরো বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে ৩০টি অবিস্ফোরিত হাতবোমা, ১২টি বাঁশের লাঠি ও দুটি জিহাদি বই জব্দ করা হয়েছে।

মামলার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঝিনাইদহ-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী আবদুল মজিদ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থীর নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে অতি উৎসাহী হয়ে পুলিশ এ ধরনের মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের করেছে। এতে করে নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।