যশোরে বিএনপি প্রার্থীর সমাবেশস্থলে হামলা, বোমা বিস্ফোরণ

Looks like you've blocked notifications!
যশোর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের দুটি সমাবেশস্থলে হামলার ঘটনায় সন্ধ্যায় যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। ছবি : এনটিভি

যশোর-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর পৃথক দুটি সমাবেশস্থলে প্রতিপক্ষের হামলায় সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা সময় টিভির ক্যামেরাও ভাঙচুর করে।

আজ বৃহস্পতিবার যশোর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের দুটি সমাবেশস্থলে এই হামলা চালানো হয়। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এই হামলার ঘটনায় সন্ধ্যায় যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

এ সময় অনিন্দ্য ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ দুপুর দেড়টায় সদর উপজেলার হালসা বাজারে একটি নির্বাচনী সমাবেশে আমার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আধা ঘণ্টা আগে নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা সমাবেশস্থলে দুটি বোমা ছুড়ে মারে। যার একটি বিস্ফোরিত হয়। এর ফলে অন্তত আট থেকে নয়জন আহত হন। যাদের মধ্যে পাঁচজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হামলাকারীরা সেখানকার চেয়ার ভাঙচুর করে ও সমাবেশের মাইকও খুলে নিয়ে যায়।’

যশোর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত এই প্রার্থী আরো বলেন, ‘আজ বিকেলে শহরের বকচর এলাকায় ধানের শীষের একটি নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু উদ্বোধনের আগেই নৌকার কর্মীরা সেখানে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

অমিত অভিযোগ করে বলেন, ‘সেখানে পুলিশের সামনেই সন্ত্রাসীরা মুখ ঢেকে জং ধরা বড় ছুরি নিয়ে, বাঁশ নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের দিকে তেড়ে আসে। সেখানে আমার জানামতে সাংবাদিকসহ সাতজন আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের একজনের নাম আমরা জানতে পেরেছি, ট্যারা সুজন নামে সে পরিচিত। সে একটি জং ধরা ছুড়ি নিয়ে এবং আরেকজন বাঁশ দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করতে উদ্ধত হয়েছিল। নেতা-কর্মীরা আমাকে ঘিরে ধরায় আমার বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে সেখানে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর কোমরে বাঁশ দিয়ে আঘাত করা হয়। রউফ নামের আমাদের আরেকজন কর্মীর পাও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কয়েকজন সাংবাদিকের ওপরও সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় ও ক্যামেরা ভেঙে দেয়।’

সময় টিভির প্রতিনিধি জুয়েল মৃধা বলেন, কেশবপুরে একটি সংবাদ সংগ্রহ করে মোটরসাইকেল নিয়ে তিনি শহরে ফিরছিলেন। পথে লোকজনের জটলা দেখে তিনি সেখানে মোটরসাইকেল থামানোর পরপরই সন্ত্রাসীরা তাঁর ক্যামেরাম্যানের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেয়। পরে হামলাকারীরা প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক এহসান উদ দ্দৌলা মিথুন ও স্থানীয় দৈনিক লোকসমাজের ফটোসাংবাদিক এমআর খান মিলনকেও মারধর করে।

পুলিশের সামনে হামলার কথা অস্বীকার করে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজে সেখানে যান এবং আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওই স্থান থেকে সরিয়ে দিয়ে বিএনপিকে প্রোগ্রাম করার সুযোগ করে দেন।