কলাপাড়ায় বাম জোটের প্রার্থীর পথসভায় হামলা, মনীষাকে লাঞ্ছিত
পটুয়াখালী-৪ আসনের বাম গণতান্ত্রিক জোটের মই প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জহিরুল আলম সবুজের পথসভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ হামলায় বাসদের নেতাকর্মীদের ওপর বরফ ছুড়ে মারা, মাইক ভাঙচুর, মাইকিংয়ের চালককে মারধর, মোবাইল ও পেনড্রাইভ ছিনিয়ে নেওয়া, অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল এবং বাসদ নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ তুলে ধরেছেন বাসদের কলাপাড়া শাখার সংগঠক কমিউনিস্ট পার্টির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নাসির তালুকদার।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সন্তু মিত্র, বরিশাল জেলা সদস্য আব্দুল্লাহ খান তপু, উপজেলা শাখার সদস্য জসিম উদ্দিন, শ্রমিক ফ্রন্টের জেলা সদস্য রুহুল হাওলাদার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বাসদের নেতারা অভিযোগ করেন, কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের চাপলী বাজারের লঞ্চঘাটে গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাসদের বরিশাল জেলা সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীসহ ১০ নেতাকর্মীর নির্বাচনী প্রচারকালে ক্ষমতাসীন দলের ২৫ নেতাকর্মী হামলা চালায়। সরকারি দলের সমর্থকদের এমন আচরণকে উগ্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় বলেও অভিযোগ করা হয়।
এ সময় ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে এসে কীভাবে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করা হলো, এটা ভাবতেই অবাক লাগে। এই হামলার বিচার দাবি করছি।’
পুলিশকে এ ব্যাপারে জানালে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও জানান মনীষা। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকা প্রতীকের সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব এসএম রাকিবুল আহসান জানান, ওই ঘটনার বিষয়ে তাঁর জানা নেই। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাও তিনি জানেন না বলে জানান।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনায় তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে মৌখিকভাবে জানানোর পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এর আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রেসক্লাব ও বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে দুই দফা সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মহিব্বুর রহমানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারে বাধা, পথসভায় হামলা, মাইক ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম করাসহ মারধরের অভিযোগ করেন।