কমিউনিটি ক্লিনিক-কর্মীদের মানববন্ধন
চাকরি জাতীয়করণসহ দুই দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা ( সিএইচসিপি)। আজ শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সিএইচসিপি সদস্যরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিএইচসিপির সদস্যরা বলেন, সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২৬৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এবার জাতীয় বেতন কাঠামোয় সবার বেতন বাড়লেও তাদের বেতন বৃদ্ধি না করে ১৪ নম্বর গ্রেডেই রয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। এ ছাড়া তাঁরা সময়মতো বেতন-ভাতা পান না বলেও উল্লেখ করেন। সিএইচসিপির সদস্যরা জানান, প্রতি তিন অথবা সাত মাস পর পর তাঁদের বেতন পরিশোধ করা হয়। এতে তাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিএইচসিপির সদস্যরা জানান, ২০১৩ সালে তাঁদের চাকরি জাতীয়করণের আশ্বাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসিআর লেখা ও সার্ভিস বুক খোলার নির্দেশ দেয়। অথচ এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি।
সিএইচসিপির সদস্যরা আরো উল্লেখ করেন, শুধু সাতক্ষীরার কর্মীরাই নন, একই ভাবে বঞ্চিত রয়েছেন দেশের ১৩ হাজার ৬৮১টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতরা। তাঁদের চাকরি প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এমনকি ২০১৫ সালে শেষ হওয়া প্রকল্পটি ২০১৬ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলেও সে সময় প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলেও জানতে পেরেছেন তাঁরা। এমনটি হলে তাঁরা সরকারি চাকরির বয়স হারাবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। আর তাই তাঁরা চাকরি জাতীয়করণের পাশাপাশি ট্রাস্ট আইনের ২২-ঘ ধারা বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৯৯৬ সালে সরকার দেশে মোট ১৩ হাজার ৬৮১টি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে। সরকার পরিবর্তনের পর ২০০১ সালে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে কমিউিনিটি ক্লিনিকগুলো ফের চালু হলে আশার আলো দেখেন তাঁরা। সে সময় কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডারদের নিয়োগ দেওয়া হয়। তখন থেকে তাঁরা সীমিত সুযোগ-সুবিধার পরও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে দেশে মা ও শিশু মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমানে প্রতি ক্লিনিকে একজন স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার পরিকল্পনা সহকারীসহ মোট তিনজন স্টাফ কর্মরত থাকছেন। এর মধ্যে কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডাররা সপ্তাহের ছয়দিন দায়িত্ব পালন করে থাকেন বলে জানান সিএইচসিপির সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের সভাপতি আল আমিন হোসেন ও সেক্রেটারি সামছুর রহমান মিলন। এ সময় শেখ রবিউল ইসলাম, আবদুল সানা, হাসিবুজ্জামান, ফারুককুজ্জামান, বাহলুল মজনুন, আনজুয়ারা পারভিন প্রমুখ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।