কাপাসিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি বিএনপি প্রার্থীর
গাজীপুর-৪ আসনের আওতাভুক্ত কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিককে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন এ আসনে বিএনপির প্রার্থী শাহ রিয়াজুল হান্নান। আজ সোমবার সকালে কাপাসিয়ায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাছে ওই দাবি জানান শাহ রিয়াজুল।
ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শাহ রিয়াজুল বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জায়গায়, আমি নিজে এবং আমার নেতাকর্মীরা আক্রমণের শিকার হচ্ছে আওয়ামী লীগের, সরকার দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা। আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে, আমাদের প্রচারণার মাইক ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’
‘আমি দুদিন আগে সন্মানিয়া আড়াল বাজারে যখন প্রোগ্রাম করতে যাই, সেখানে আমাকে আক্রমণ করা হয়। সেটা আমি নিজে সশরীরে এসে যখন থানার ওসিকে বলি, অভিযোগ দায়ের করি- লিখিত। তারা লিখিত অভিযোগ তো গ্রহণ করেই নাই, তারা আমলেই নেয় নাই।’
উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে আজগুবি ঘটনা সাজিয়ে মামলা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে রিয়াজুল বলেন, ‘আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট, যিনি নাকি বিএনপির সভাপতি, সদস্য সচিব, যিনি নাকি আমাদের সেক্রেটারি বিএনপির (তিনি) সহ আমার নির্বাচনী প্রচারণার কাজে নিয়োজিত যারা- সম্ভাব্য পোলিং এজেন্ট, প্রায় শ খানেক লোকের নামে বিভিন্ন মামলা দায়ের করা হলো- ১২ তারিখ, ১৩ তারিখ, ১৪ তারিখ।’
এ অবস্থায় তাঁর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা হুমকির মুখে পড়ে গেছে জানিয়ে রিয়াজুল আরো বলেন, ‘আমার অফিস এখন যে চালাব, নির্বাচনী অফিস, প্রধান অফিস সেটা চালানোর লোক পর্যন্ত নেই। এমতাবস্থায় একটা সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে আমার টিকে থাকাই দায় হয়ে গেছে এবং যেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নামে আমি ইতিমধ্যে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি অবিলম্বে (তাঁকে) প্রত্যাহারের জন্য।’
এদিকে এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওই সব ঘটনায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আসছে। অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কাজী আফতাব উদ্দিন, থানা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক লাল, কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বেপারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।