বিএনপির প্রার্থী খোকনের ওপর গুলিবর্ষণ

সোনাইমুড়ির ওসিকে গ্রেপ্তারের দাবি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির

Looks like you've blocked notifications!
আজ সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। ছবি : এনটিভি

নোয়াখালী-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ও প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

আজ সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এ দাবি জানান।

এ সময় জয়নুল আবেদীন বলেন, সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার খবর নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ‘দেশে নির্বাচনের পরিবেশ সব দলের জন্য সমান রয়েছে’ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যেরও কড়া সমালোচনা করেন জয়নুল আবেদীন।

এ ছাড়া প্রার্থীদের ওপর হামলা ও নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে না পারলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনারদের পদত্যাগ করারও দাবি জানায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে সোনাইমুড়ি কলেজ মাঠে নোয়াখালী-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম ইব্রাহিমের পক্ষে একটি নির্বাচনী সমাবেশ হয়। সকাল থেকে সোনাইমুড়ির বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচার চালান তিনি। এ দিকে একই স্থানে বিকেল ৩টায় বিএনপির প্রার্থী ও দলের যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের সমর্থনেও একটি নির্বাচনী সমাবেশ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী সমাবেশটি শেষ হয় বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের পরে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে ও এর আশেপাশে সমবেত হতে থাকেন। একসময় উভয়পক্ষের লোকজন তাদের প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল করতে থাকেন। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিনের একটি গাড়িসহ কয়েকটি গাড়ি, বাজারের কয়েকটি ওষুধের দোকান ভাঙচুর করা হয় এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় সোনাইমুড়ি বাজার দখলে নেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।

সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি মোতাহের হোসেন মানিক অভিযোগ করেন, ঘটনার সময় পুলিশ অতর্কিতভাবে এসে বিএনপির লোকজনের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ গুলি চালানো শুরু করেন। এতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, তাঁর ব্যক্তিগত সচিব মো. রুবেল ও এক ছাত্রদল কর্মী আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর দ্রুত তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. আজিজ বলেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হলেও তাঁরা আশঙ্কামুক্ত।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি আবদুল মজিদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছি।