কুলিয়ারচরে বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর

Looks like you've blocked notifications!
কুলিয়ারচর উপজেলায় বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় এবং নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। এতে করে ওই এলাকার বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে এসব ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা যায়।

এদিকে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে পৌর বিএনপি নেতা সাফি উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি বিগত পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। তিনি ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের ভগ্নিপতি।

পৌর শহরের গাইলটকাটার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ সাফি উদ্দিনকে আটক করে।

একই রাতে কুলিয়ারচর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন শাহ আলম, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন বাবুলের বাসায় তল্লাশি চালায় পুলিশ।

বিএনপির অভিযোগ, গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে রামদি ইউনিয়নের বাজরা বাসস্ট্যান্ডে ইউনিয়ন বিএনপি ও উপজেলা জিয়া পরিষদের অফিস, বড়চড়া জিয়া পরিষদের অফিস ও নির্বাচনী ক্যাম্প, আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে বিএনপি অফিস ও মনোহরপুরের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা কার্যালয়গুলোতে থাকা আসবাবপত্রসহ শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও দলীয় প্রার্থী শরীফুল আলমের ছবি ভাঙচুর করে।

বিএনপি দলীয় প্রার্থী শরীফুল আলম অভিযোগ করেন, পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় ও নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙচুর চালায়। হামলার সময় আসবাবপত্রসহ একটি মোটরসাইকেল, দুটি দোকানও ভাঙচুর করে।

সাফি উদ্দিনের আটক বিষয়ে শরীফুল বলেন, ‘সাফি উদ্দিন একজন কিডনির রোগী। তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এ কারণে তাঁকে প্রায়ই সিঙ্গাপুর যেতে হয়। এমন একজন রোগীকে পুলিশ বিনা মামলায় আটক করেছে।’ তিনি এর তীব্র নিন্দাসহ তাঁর মুক্তি দাবি করেন।

সাফি উদ্দিনের আটক বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নান্নু মোল্লা জানান, সাফি উদ্দিন একাধিক মামলার সন্দেহজনক আসামি। এই কারণেই তাঁকে আটক করা হয়েছে।