কনকচাঁপাকে নিয়ে নেতাকর্মীদের চাপা ক্ষোভ

Looks like you've blocked notifications!
কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। ছবি : সংগৃহীত

নৌকার দুর্গ খ্যাত সিরাজগঞ্জ-১ আসনে ভোটের মাঠে এ পর্যন্ত কখনই সুবিধা করতে পারেনি বিএনপি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটিতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপাকে।

দলের নীতিনির্ধারকদের বিশ্বাস, জনপ্রিয় এই শিল্পী নিজের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করবেন। কিন্তু নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত পুরোদমে মাঠেই নামতে পারছেন না কনকচাঁপা। নিজের নিরাপত্তা চেয়ে পাশের জেলা বগুড়ায় গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আর এদিকে তাঁর নিজের নির্বাচনী এলাকায় নেতাকর্মীরা তাঁকে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

যদিও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা বলেন, ‘আমি ১০ ডিসেম্বর থেকে কাজীপুরের পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তর-দক্ষিণ দিয়ে প্রচার চালাচ্ছি। আওয়ামী লীগের হুমকি-ধমকির ভয়ে কাজীপুরে ঢুকতে পারছি না। হুমকির বিষয়গুলো আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকাকে মোবাইলে এবং লিখিতভাবে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেননি। রিটার্নিং কর্মকর্তার ওপর আস্থা না পেয়ে আমি জীবননাশের ভয়ে পাশের জেলায় আশ্রয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছি।’

দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এমন প্রসঙ্গে কনকচাঁপা বলেন, ‘আমি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেককেই ফোন দিয়েছি। দু-একজনকে ফোনে পাইনি। তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’

কাজীপুর উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা লাকী খাতুন জানান, এক মাসের মতো হয়ে গেল কনকচাঁপা এলাকায় আসেননি, ভোটও চাননি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে সিরাজগঞ্জ শহরে টুকু সাহেবের বাড়িতে আমাদের নিয়ে নির্বাচনী মিটিং করলেন কনকচাঁপা। গাড়ি ভাড়া করে নেতাকর্মীরা তাঁর মিটিংয়ে এলেন, অথচ গাড়ি ভাড়ার টাকাও দেওয়া হয়নি।’

কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ মিজানুর রহমান বাবলু বলেন, ‘আমাদের মতো আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে প্রার্থী যদি না বলেন, তাহলে কর্মীরা কীভাবে প্রচারে নামবে?’

কাজীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপি নেতা আবদুস সালাম বলেন, ‘২০১৪ সালে কনকচাঁপাকে আমি দেখেছিলাম। তাঁর প্রোগ্রাম করে দিয়েছিলাম আমি। এবার দলীয় মনোনয়ন পেলেও আমার সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করেননি।’

কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা বলেন, ‘আমি নিজেও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম। দল আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে কনকচাঁপাকে দিয়েছে। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো ক্ষোভ নেই। তিনি এলাকায় এলে আমরা তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করব। শোনা যাচ্ছে, ২২ ডিসেম্বরের আগে তিনি কাজীপুরে আসবেন না।’