প্রার্থী অবরুদ্ধ, ইসিতে অভিযোগ নিয়ে এলেন স্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!

পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভয়ে বাসা থেকে বের পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন  চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনের বিএনপির প্রার্থী মো. জালাল উদ্দিন। তিনি অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। অংশ নিতে পারছেন না নির্বাচনী প্রচারেও।

আজ রোববার এসব অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আসেন জালাল উদ্দিনের স্ত্রী শাহানাজ শারমিন। তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বরাবর লিখিত অভিযোগটি ইসিতে জমা দেন।

চিঠিতে তিন পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী। ওই তিন কর্মকর্তা হলেন চাঁদপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাজন কুমার দাস, মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন  ও মতলব দক্ষিণ থানার ওসি কে এম ইকবাল হোসেন। এ ছাড়া অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ও নির্বাচনী প্রচার চালানোর সুযোগ করে দিতে অনুরোধ করেছেন বিএনপির ওই প্রার্থী।

চিঠিতে জালাল উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের ভয়-ভীতিতে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছি। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের সার্বক্ষণিক নজরদারির কারণে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হতে পারছি না। বিএনপির কর্মীরা বের হওয়ার চেষ্টা করলেই আওয়ামী লীগের কর্মীরা পুলিশের সহায়তায় তাদের মারধর করছে। চাঁদপুর-২ আসনের বিভিন্ন এলাকায় ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।’

চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘গত ১৫ ডিসেম্বর মতলব দক্ষিণে বিএনপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা করে পোস্টার ও নির্বাচনী সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। চাঁদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) রাজন কুমার দাস, মতলব উত্তর থানার ওসি কবির হোসেন ও মতলব দক্ষিণ থানার ওসি কে এম ইকবাল হোসেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মদদ দিচ্ছে। এ ছাড়া আমাকে অবরুদ্ধ রাখতে এই তিন পুলিশ কর্মকর্তা সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। আমাকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।’

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জালালের স্ত্রী শাহানাজ শারমিন। তিনি বলেন, ‘চাঁদপুর জেলা পুলিশের তিন কর্মকর্তা নিজেদের পদে বহাল থাকলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। পুলিশ কর্মকর্তারা বিএনপি নেতাকর্মীদেরও সক্রিয় হতে দেবে না। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে একচেটিয়া ভোট করবে আওয়ামী লীগ। এতে করে দেশ-বিদেশে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।’