‘ক্রীড়াক্ষেত্রে আরো সাফল্য আনতে বিত্তবানদের সহায়তা চাই’

Looks like you've blocked notifications!
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭)’-এর চূড়ান্ত খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি : ফোকাস বাংলা

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘আমি আশা করব সরকারের পাশাপাশি সামর্থবান ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও করপোরেট হাউজ বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজনে এগিয়ে আসবে। তাহলেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে আমাদের আরো সাফল্য আসবে।’

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭)’-এর চূড়ান্ত খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি ফুটবল ও অন্যান্য ক্রীড়ার প্রতিযোগিতা আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যা কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি, সহনশীলতা গঠন এবং মাদকাসক্তি ও জঙ্গিবাদসহ সব ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে তাদের বিরত রাখতে সহায়ক হবে।

এই উদ্যোগের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ ধরনের টুর্নামেন্ট নতুন মেধাবী খেলোয়াড় সৃষ্টি এবং ফুটবলকে সবার কাছে জনপ্রিয় করে তুলবে।’ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায় থেকে খেলোয়াড়দের বাছাই করে আনার বিষয়টি আগামী দিনগুলোতে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।’

খেলাধূলার উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘খেলাধূলার উন্নয়নে ও অবকাঠামোগত সুবিধা সম্প্রসারণে বর্তমান সরকার আর্থিক ও কারিগরিসহ সবধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।’

রাষ্ট্রপতি দেশের ফুটবলের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সাথে ফুটবল খেলার খুব নিবিড় সম্পর্ক ছিল। ফুটবল ছিল তাঁর (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর) সবচেয়ে প্রিয় খেলা।’

রাষ্ট্রপতি বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান এবং টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা জানান।

রাষ্ট্রপতি এই টুর্নামেন্টের বিজয়ী ও রানার্সআপ টিমের মধ্যে ট্রফি ও পদক বিতরণ করেন।

যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, জ্যেষ্ঠ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর পত্নী রাশিদা খানম বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ভিভিআইপি গ্যালারিতে বসে রাজশাহী বিভাগ ও রংপুর বিভাগের মধ্যে টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত ম্যাচ উপভোগ করেন।