করমর্দন-কেক খাওয়ানো শেষে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দুই প্রার্থীর

Looks like you've blocked notifications!
সিলেটে আজ মঙ্গলবার বড়দিনের উৎসবে করমর্দন করেন সিলেট-১ আসনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির খন্দকার আবদুল মুক্তাদির ও আওয়ামী লীগের ড. এ কে আবদুল মোমেন। ছবি : এনটিভি

খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের উৎসব বড়দিনে আজ মঙ্গলবার যোগ দেন সিলেট-১ আসনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির খন্দকার আবদুল মুক্তাদির ও আওয়ামী লীগের  ড. এ কে আবদুল মোমেন। অনুষ্ঠানে দেখা হলে, হাসিমুখে এগিয়ে গিয়ে করমর্দন করেন দুই প্রার্থী। বড়দিনের কেকও খাইয়ে দেন। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তাঁরা।

আজ মঙ্গলবার সিলেট মহানগরের নয়াসড়ক এলাকায় গণসংযোগ করেন এই দুই প্রার্থী। পরে তাঁরা বড়দিনের উৎসবে যোগ দেন। এরপর সাংবাদিকদের কাছে একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন মুক্তাদির ও মোমেন।

এ সময় বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘আজকে যখন আমি আমার আওয়ামী লীগদলীয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিয়ে পাশে বসেছি। এর আগে তিন রাতে সিএমপির (সিলেট মহানগর পুলিশ) পাঁচ থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। আমার শত শত নেতাকর্মী অভিযুক্ত মামলায়, গায়েবি মামলায়। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন উনি (ড. এ কে আবদুল মোমেন), ক্যাম্পেইন ভালো চলছে কি না। আমি বললাম, ক্যাম্পেইন চালাচ্ছি, সেই সাথে আপনাদের মামলাগুলিও মোকাবিলা করছি।

উনি বললেন, না, না, না, মামলা যা হয়, সব ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে। তখনই এক ভদ্রলোক আসলেন, আমাদের বিএনপির। উনি তাঁর সঙ্গে হ্যান্ডশেক করলেন, যে কেমন আছেন? আমার পাশেই দাঁড়ানো উনি। বললেন, উনিও ক্রিমিনাল, কারণ উনিও মামলায় অভিযুক্ত। তো এই রকম সমস্ত রাজনৈতিক নেতাকর্মী যদি ক্রিমিনাল হয়, আপনারা মনে করতে পারেন, এই কথাগুলি খুব স্মার্ট, কিন্তু দেশবাসী এত বোকা না। আপনারা হয়তো মনে করতে পারেন, যাদের বলছেন তারা বোকা, কিছুই বুঝে না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশবাসী বোকা না। তারা ঠিকই বোঝে কোনটা প্রকৃত সত্যি, আর কোনটা মেকি, অভিনয়।’

আজ বড়দিনের উৎসবে কেক কেটে একে অপরকে খাইয়ে দেন সিলেট-১ আসনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির খন্দকার আবদুল মুক্তাদির ও আওয়ামী লীগের  ড. এ কে আবদুল মোমেন। ছবি : এনটিভি

মুক্তাদির আরো বলেন, ‘আমার জনসমর্থন আল্লাহর রহমতে, প্রবল জনসমর্থন আছে এবং আমরা যে ৩০ তারিখের দিকে এগিয়ে চলেছি। আমরা বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। মুশকিল হলো, সরকারি দলও জানে যে, ভোটের হিসাবে আমাদের সঙ্গে পারবে না। সেজন্য ৩০ তারিখের আমাদের নেতাকর্মীদের মাঠছাড়া করার জন্য, ওরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে, তারা একটি সাজানো ফলাফল বের করে আনার চেষ্টা করছে। ইনশা আল্লাহ এসবের কোনো কিছুতেই কাজ হবে না। ৩০ তারিখ এই দেশের মানুষের। বাংলাদেশ জিতবে ৩০ তারিখ।’

পরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন,  ‘আমরা আমাদের সমর্থকদের একটাই অনুরোধ করেছি, যে এরা হতাশ অবস্থায়। ওরা কষ্টে আছে। তারা ভাবছে যে, নির্ঘাত পরাজয় হবে। এজন্য হতাশার ভিতরে, তারা আমাদের ওপর এই হিংসা, প্রতিহিংসা, হিংসার দিকে তারা গেছেন। আমাদের কোনো সমর্থক যেন তাদের এই হিংসা প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে অ্যাকশন না নেয় এবং এসব আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের তাদের কাজ করবে। তাদের ওপরে আমাদের কোনো ধরনের ইন্টারভেনশন নাই। আমরা চাই, একটি সুন্দর নির্বাচন। আমাদের এই শহরে আমাদের মতো যারা, তারাও নির্বিঘ্নে প্রচারকার্য চালিয়ে যাচ্ছে। কোথাও কখনো বাধাগ্রস্ত আমাদের দ্বারা হয় নাই। কিন্তু তাদের একটা মজ্জাগত অভ্যাস। অভ্যাসটা হলো, অভিযোগের অভ্যাস। এটা তো নতুন না। তাদের কেন্দ্রীয় নেত্রী যেমন করেন, এইখানেও একই করেন।’