সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি বিএফইউজে ও ডিইউজের

Looks like you've blocked notifications!
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপার শামীম গেস্ট হাউসের সামনে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত যমুনা টেলিভিশনের গাড়ি। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার নবাবগঞ্জে হোটেলে অবস্থানরত যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী আজ মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে এর সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা সাংবাদিক সমাজকেই আতঙ্কিত করে। সাংবাদিকরা দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় তাদের নানাভাবে হয়রানি-নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়। যেটা পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এর অবসান হওয়া জরুরি এবং এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত।

বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলায় ১০ জন সাংবাদিক আহত হওয়া এবং ১৮টি গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু তাই নয়, দীর্ঘসময় ধরে চলা সন্ত্রাসী হামলার সময় স্থানীয় পুলিশের ভূমিকাও সন্দেহজনক। পুলিশ এ ধরনের ঘটনার সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বদলে নিশ্চুপ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ সাংবাদিক সমাজসহ জনগণের কাম্য নয়। পুলিশের কাজ হলো শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেখানে পুলিশের স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফোন রিসিভ না করা মানে সন্ত্রাসীদের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতা করা। এটা কখনোই রাষ্ট্রের জন্য শুভ লক্ষণ নয়।

নেতারা অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব একজন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে বিব্রত ও বিতর্কিত করার জন্য কোনো মহল এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, সেটিও পর্যালোচনা করা দরকার। 

ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপার শামীম গেস্ট হাউসের সামনে যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীদের ওপর এবং তাদের গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। হামলায় অন্তত ১০ জন সাংবাদিক আহত হন।