ভেঙে দেওয়া মঞ্চেই সভা করলেন সুলতান মনসুর

Looks like you've blocked notifications!
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর বাজারে ধানের শীষের প্রার্থী ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের ভাঙচুর করা প্যান্ডেল। ছবি : এনটিভি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ধানের শীষের প্রার্থী ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের নির্বাচনী জনসভার প্যান্ডেলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

মঙ্গলবার দুপুরে কুলাউড়ার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে এই ভেঙে দেওয়া প্যান্ডেলেই জনসভা করেন সুলতান মনসুর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার দুপুরে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে একদল যুবক মিছিল করে এসে জনসভার মঞ্চ ভাঙচুর করে। ধানের শীষের প্রায় ২০ জন কর্মী-সমর্থককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।

সুলতান মনসুরের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সাবেক সাংসদ নবাব আলী আব্বাস বলেন, কুলাউড়ার সদর ইউনিয়নে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের পূর্বনির্ধারিত গণসংযোগ ছিল, আমরা আচরণ বিধি মেনেই প্রার্থীর সঙ্গী হয়েছিলাম। আমাদের গণজোয়ার দেখে শান্তিপূর্ণ এই গণসংযোগ নষ্ট করতে সকাল থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা স্থানে স্থানে গিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় স্থানীয় লোকজনকে। দিনভর তারা দলবেধে আমাদের বেশ কয়েকটি পথসভার আয়োজন পণ্ড করে দেয়। পুলিশ আমাদের এই বেহাল অবস্থা দেখেও তাদের পক্ষ নিয়ে উল্টো আমাদের কর্মী-সমর্থকসহ এলাকাবাসীকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে। পুলিশ ও নৌকা সমর্থকদের এই হামলার ঘটনায় নারীসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। তবে পুলিশি ভয়ে আহতরা লুকিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।

‘আমরা কি স্বাধীন দেশে আছি? আমাদের জনসভার মঞ্চ এক সাবেক ছাত্রলীগনেতার নেতৃত্বে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই ভাঙা মঞ্চেই জনসভা করেছি। পুলিশ হামলাকারীদের না ধরে নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে হামলা চালিয়ে ১০ থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনার পর আমরা গাজীপুরের একটি বাড়ির ঘরোয়া বৈঠক করছিলাম। সেখানেও পুলিশ হামলাকারীদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে সব তছনছ করে দিয়েছে।’ বলেন নবাব আলী আব্বাস।

আব্বাস বলেন, রোববার সকাল থেকে পুলিশ বিনা কারণে আমাদের প্রতিপক্ষ হয়ে নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের ওপর হামলে পড়ছে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মূসা বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি, পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে।’ তবে পুলিশ কেন হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার না করে উল্টো ধানের শীষের কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের ওপর লাঠিপেটা করেছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান।