নেতাকর্মীরা জেলে, স্ত্রীকে নিয়ে অমিতের সংবাদ সম্মেলন
যশোর-৩ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত অভিযোগ করেছেন, গত পাঁচদিনে তাঁর আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘প্রশাসন যেভাবে ভোট করছে তাতে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী দেওয়ার দরকার ছিল না, কলাগাছ দাঁড় করিয়ে দিয়েও পাস করাতে পারত।’
আজ বুধবার যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অমিত এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে কোনো নেতাকর্মী ছিলেন না। তিনি তাঁর স্ত্রী সোহানা পারভীনকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অমিত বলেন, ‘আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত আমার নির্বাচনী এলাকা যশোর-৩ আসনে জেলা বিএনপির তথা, আমার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ আমার জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌর, ওয়ার্ড পর্যায়ের শুধু পদধারী আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছে। এটি গত মাত্র পাঁচদিনের চিত্র। আমি গত প্রেস ব্রিফিংয়ে আশঙ্কা করেছিলাম। আগামীতে যেদিন আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হব, আমার ডানে পাশে হয়তো বা আমার কোনো রাজনৈতিক সহকর্মী থাকতে পারবে না। আজকে আমার সেই আশঙ্কাটি সত্যি হয়েছে এবং আমি শুধু আমার স্ত্রীকে নিয়ে উপস্থিত হয়েছি।’
অমিত অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বেশিরভাগ নেতাকর্মীকে গত দুই-তিনদিনের মধ্যে জেলে ঢোকানো হয়েছে। বাকিরা গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এমনকি পোলিং এজেন্টদের চিঠিতে স্বাক্ষর করার মতো নেতাও এখন আর বাইরে নেই।’
এরপরও ৩০ তারিখের নির্বাচনে আশা প্রকাশ করে অমিত বলেন, ‘আমি আশাবাদী মানুষ। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও, আমি বিশ্বাস করি, আগামী ৩০ তারিখে আমার পাশে কোনো কর্মী না থাকলেও, এই যশোর-৩ আসনের ভোটাররাই ধানের শীষের কর্মী হিসেবে, তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। শুধু এই নয়, এই ভোট কেন্দ্র পাহারা দেবে এবং আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমি এই নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকব ইনশা আল্লাহ।’
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘আমি বারবার করে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছি, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনবার জন্য, এখনো আমি কোনো প্রতিকার পাইনি। আমি সর্বশেষ দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর উদ্দেশে বলতে চাই, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আপনাদের শ্রদ্ধা করে। আপনাদের ওপর আস্থা রাখে। আপনাদেরকে দেশের মানুষ শ্রদ্ধা করে। আমার বিনীত অনুরোধ আপনারা বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকুন।’