শেষ মুহূর্তের প্রচারে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থীরা

Looks like you've blocked notifications!
শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের নৌকা মার্কার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না। ছবি : এনটিভি

শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের প্রার্থীরা। নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন তাঁরা। আওয়ামী লীগ চায় জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে আর বিএনপি চায় আসনটি পুনরুদ্ধার করতে।

আওয়ামী লীগের দাবি, উন্নয়নে মুগ্ধ হয়ে আবারও নৌকায় ভোট দেবে মানুষ। অন্যদিকে বিশাল ভোটব্যাংকই ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করবে বলে মনে করেন বিএনপির নেতারা।

সিরাজগঞ্জ পৌরসভাসহ সদরের পাঁচটি ইউনিয়ন ও কামারখন্দ উপজেলার চারটি ইউনিয়ন নিয়ে সিরাজগঞ্জ-২ আসন গঠিত। আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫০ হাজার ৯০৭। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭৬ হাজার ২৫৫ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৭৪ হাজার ৬৫২।

জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মর্যাদাপূর্ণ আসন হওয়ায় প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নজর থাকে এই আসনটিতে।

এ আসনে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না (নৌকা), বিএনপি মনোনীত রুমানা মাহমুদ (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের মো. মুহিবুল্লাহ (হাতপাখা) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নবকুমার কর্মকার (মই)।

এ আসনে ধানের শীষের বিশাল ভোটব্যাংক রয়েছে বলে বিএনপি দাবি করলেও পঞ্চম সংসদ নির্বাচন থেকে প্রতিটি নির্বাচনই হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। এর মধ্যে তিনটিতে জয় পায় বিএনপি, বাকি দুই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে (এর মধ্যে ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় আওয়ামী লীগ)।

শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী রুমানা মাহমুদ। ছবি : এনটিভি

বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সংসদীয় আসন পুনর্বণ্টনের সময় আওয়ামী দুর্গ হিসেবে পরিচিত উত্তর সিরাজগঞ্জের চারটি ইউনিয়ন এ আসন থেকে বাদ দেওয়া হয়। সেগুলো যুক্ত করা হয় কাজীপুরের সঙ্গে। অন্যদিকে, উভয় দলের সমান সংখ্যক সমর্থকের কামারখন্দ উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগ করা হয়। যার ফলে এ আসনটিতে বিএনপির দাপট বেড়েছে।

তবে এসব হিসাব-নিকাশ একেবারেই মানতে নারাজ সরকার দলের সমর্থকরা। তাদের দাবি, টানা দুবার ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকার সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। সংসদ সদস্য মিল্লাত মুন্নার নেতৃত্বে দৃশ্যমান উন্নয়ন ভোটারদের কাছে টানবে। বর্তমানে দলের সাংগঠনিক ভিতও বেশ শক্তিশালী।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, সিরাজগঞ্জে নৌকার একটি ভোটব্যাংক রয়েছে। এ ছাড়া সৎ ও যোগ্য প্রার্থী দেখেও জনগণ ভোট দেয়। এর সঙ্গে রয়েছে উন্নয়ন। গত ১০ বছরে সিরাজগঞ্জে যে উন্নয়ন হয়েছে, ৪৭ বছরের ইতিহাসে তা হয়নি। এ কারণে মানুষ আবারও স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কাকেই বিজয়ী করবে।

বিএনপি প্রার্থী রুমানা মাহমুদ বলেন, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সিরাজগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ভোটাররা যদি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে, তাহলে ধানের শীষ বিজয়ী হবে।

বাসদ মনোনীত প্রার্থী নবকুমার কর্মকার বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ থাকলে ভোটাররা তাঁকে ভোট দেবে।

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুহিবুল্লাহ বলেন, ‘প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’