প্রচার শেষ, ভোটের অপেক্ষা

Looks like you've blocked notifications!

নানা ঘটনা আর আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারপর্ব। নির্বাচনের প্রতীক পাওয়ার পর থেকে টানা ১৮ দিন প্রচার চালানোর পর আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া প্রচারের সময়সীমা শেষ হয়েছে।

আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা পরই শুরু হয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত ভোটপর্ব। ভোটাররা সেই আশায় আছেন। তাঁরা ভোটের মাধ্যমে রায় দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য কোনো একটি দল/জোটকে ক্ষমতায় বসাবেন।

তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনের মাঠে পুরোদমে সক্রিয় ছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও মহাজোটের প্রার্থীরা। তবে নির্বাচনী প্রচারে বাধা সৃষ্টি, হামলা-ভাঙচুর, প্রার্থী ও সমর্থকদের পুলিশি হয়রানির অভিযোগ শুরু থেকেই ছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্টের।

নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, এরই মধ্যে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচন সামগ্রী জেলায় জেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল শনিবার ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে যাবে সব সামগ্রী। শেষ মুহূর্তে ব্যালট পেপারে কোনো পরিবর্তন এলে তা ছাপিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম রয়েছেন নির্বাচনী এলাকায়।

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভোটের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা নির্বাচনী এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রা করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত সভা-সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রা করা যাবে না।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলই অংশ নিচ্ছে। এক দশক পর ভোটের মাঠে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।

এবারের নির্বাচনে সারা দেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার আটশর বেশি প্রার্থী। এর মধ্যে ৫০ জনের মতো রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাকিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের।

এবার ৩০০ আসনে ভোটার ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার। নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্র ও দুই লাখ ছয় হাজার ৪৭৭টি ভোটকক্ষ রয়েছে। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোট স্থগিত করে পুনঃতফসিল দেওয়া হয়েছে।

এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হচ্ছে। ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।