উত্তরের ৭ জেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা

Looks like you've blocked notifications!
রাজশাহীতে বিজিবির টহল ও তল্লাশি। ছবি : এনটিভি

ভোটের দিনসহ আগে-পরে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের সাত জেলায় সম্ভাব্য সহিংসতা ও নাশকতার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে উত্তরাঞ্চলের সহিংসতাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত এসব জেলায় গুরুত্বানুসারে বিভিন্ন সংখ্যায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বাড়তি সংখ্যায় মাঠে থাকছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাবের বিশেষ টিম।

এছাড়া সহিংসতা ও নাশকতায় অতীতের রেকর্ড বিবেচনায় সাত জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে নেয়া হয়েছে বিশেষ সতর্কতা।

রাজশাহীতে বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রশাসনের উদ্যোগে সাম্প্রতিক এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

শুধু নির্বাচনী এলাকাতেই নয়, এসব জেলার ভোট কেন্দ্রগুলোতেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নেয়া হচ্ছে কেন্দ্রভিত্তিক বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ভোটের আগে ও ভোট শেষে যাতে সহিংসতা হতে না পারে, সেজন্য এই সাত জেলায় শুরু হয়েছে গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক কঠোর নজরদারি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার ভোট কেন্দ্রগুলোতে ২৭ হাজারের বেশি পুলিশের ফোর্স দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি সহিংসতাকবলিত জেলা বিবেচনায় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও নীলফামারী- এই সাত জেলাকে বিশেষ নিরাপত্তার অগ্রাধিকার এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব জেলায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা বিবেচনায় পুলিশের পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রের বাইরে জেলাভিত্তিক ঊর্ধ্বে ২৫ প্লাটুন থেকে নিম্নে ২০ প্লাটুন করে বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। একই সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী বিশেষ দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। বিশেষ বাহিনী হিসেবে র‌্যাব সদস্যরা এলাকাগুলোতে তাদের নজরদারি আরও বাড়িয়েছে বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকেন্দ্রিক আইনশৃঙ্খলার সাম্প্রতিক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সহিংসতা সৃষ্টিকারীরা যাতে কোনোভাবেই গাছের গুঁড়ি নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য উত্তরাঞ্চলের সব জেলার কাঠমিল মালিকদের আগেই সতর্ক করা হয়েছে।

এ ছাড়া মসজিদের মাইক ব্যবহার করে যাতে সহিংসতা ও নাশকতাকারীরা গুজব রটিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে সেজন্য মসজিদ কমিটিগুলোসহ দায়িত্বরত ইমামদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি শুরু হয়েছে বলে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘কিছু বিএনপি নেতা তাদের কর্মীদের ভোট কেন্দ্র ঘিরে রাখাসহ নানা ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলেও তাদের সম্ভাব্য নাশকতা ও সহিংসতার বিষয়ে আমরা আমাদের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে সজাগ ও সতর্ক থাকার কথা বলছি। আশা করি প্রশাসনও সম্ভাব্য সহিংসতার বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখবে।’

রাজশাহী র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক মাহবুবুর রহমান জানান, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত তাঁরা।