চান্দিনায় রেদোয়ানের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ড. রেদোয়ান আহমেদের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় উপজেলার বাড়েরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বাতাঘাসী গ্রামের হাজি চেরাগ আলীর ছেলে সহিদুল ইসলাম, একই গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম, সব্দলপুর গ্রামের আব্দুল মুনাফের ছেলে মাঈন উদ্দিন, আলী আহাম্মদের ছেলে এরশাদুজ্জামান, ওমর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও সুহিলপুর গ্রামের বাবরী মিয়ার ছেলে শাহ আলম। এদের মধ্যে আহত সহিদুল ইসলামকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহত সহিদুল ইসলাম জানান, রেদোয়ান আহমেদের গাড়িবহরে করে ছাতাড্ডা যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথে বাড়েরা বাজারে কয়েকজন লোক এসে তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করে এবং গাড়িটি ভাঙচুর করে।
২০ দলীয় জোটের প্রার্থী এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ অভিযোগ করেন, ‘তিনটি গাড়িতে করে নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজ বাড়ি ছাতাড্ডা যাচ্ছিলাম। বাড়েরা বাজারে পৌঁছার পর দোবারিয়া গ্রামের মনির মালসহ আওয়ামী লীগের লোকজন আমার পিছনের গাড়ির পথরোধ করে হামলা করে। এতে আমার ছয় নেতাকর্মী আহত হন।’
সঙ্গে সঙ্গে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম জাকারিয়াকে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাঠান। ঘটনাস্থল থেকে আহতদেরসহ হামলায় ভাঙচুর হওয়া গাড়িটি উদ্ধার করে পুলিশ। আহতদের চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পাঁচজনকে থানায় নিয়ে যায়। একদিকে আমার নেতাকর্মীদের মারধর করে আহত করা হয়েছে অপরদিকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে মামলায় আটকানোর পাঁয়তারা করছে বলেও অভিযোগ করেন ধানের শীষের এই প্রার্থী।
এদিকে, বাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রওশন আলী প্রধান দাবি করেন, রেদোয়ান আহমেদের গাড়িবহরের পিছনের গাড়িতে পুলিশ লেখা ছিল এবং অবৈধ অস্ত্র থাকায় আমাদের লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
বিষয়টি অস্বীকার করে ড. রেদোয়ান আহমেদ জানান, মূলত আমার লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা করে ওই গাড়িতে অস্ত্র দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল ফয়সল জানান, ঘটনার পর পর ঘটনাস্থল থেকে তাদের আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।