মানিকছড়িতে বৃদ্ধ মতিন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি

খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ পালিত

Looks like you've blocked notifications!
খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ চলাকালে আজ রোববার দুপুরের একটি দৃশ্য। ছবি : এনটিভি

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে বৃদ্ধ আবদুল মতিনের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ রোববার সকাল-সন্ধ্যা খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে অবরোধ পালন করেছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ।

অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ থাকে। দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ফেনীর সঙ্গে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

অবরোধের সমর্থনে মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিল, আমতলী ও মহামুনি এলাকায় পিকেটিং করেছে বাঙালি ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা। তবে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন সতর্ক অবস্থায়। মোতায়েন করা হয়েছিল বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।

হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনকে ৯৬ ঘণ্টা সময় দেওয়া হলেও নির্দিষ্ট সময়ে এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকেই গ্রেপ্তার করতে না পারায় এ অবরোধের ডাক দেওয়া হয় বলে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক ই-মেইল বার্তায় স্থানীয় সাংবাদিকদের এ খবর জানানো হয়।

গত ৩ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে মানিকছড়ি উপজেলার মলঙ্গিপাড়ায় আবদুল মতিনকে (৬০) সন্ত্রাসীরা গলা কেটে হত্যা করে। পরে নিহতের ছেলে মো. আলী হোসেন ওরফে ভানু মিয়া বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে আট-দশজন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রিপ্রুচাই মারমা (৪৮) ও উসামং মারমাকে (৩৮) আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। ভূমি বিরোধকে কেন্দ্র করে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এমন অভিযোগ তুলে সে থেকে স্থানীয় বাঙালিরা রাস্তা অবরোধ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।