আমি আশাবাদী, নৌকাই জয়ী হবে : প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
আজ রোববার সকাল ৮টায় ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ছবি : এনটিভি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি সব সময়ই আশাবাদী। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমার বিশ্বাস, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তির জয় হবে। স্বাধীনতার পক্ষের জয় হবে। উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য নৌকা মার্কার ভোট দেবে। আমি জানি, বাংলার জনগণ আমাদের বেছে নেবে। নৌকার জয় হবেই হবে।’

আজ রোববার সকাল ৮টায় ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর গণমাধ্যমের সামনে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। ওই কেন্দ্রে তিনিই প্রথম ভোট দেন। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা এবং ওই আসনের নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমণ্ডির সুধা সদনের বাসার ঠিকানার ভোটার। তাঁর ভোটকেন্দ্র ঢাকা সিটি কলেজ। রাজধানীর ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট ও কলাবাগান থানা এলাকা নিয়ে ঢাকা-১০ সংসদীয় আসন। এ আসনের একটি ভোটকেন্দ্র ঢাকা সিটি কলেজ।

এ আসনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বিএনপির প্রার্থী আবদুল মান্নান।

এ সময় নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি কাল সারা রাত পরিস্থিতি মনিটর করেছি। কয়েকটি জায়গায় কিছু ঘটনা ঘটেছে। এগুলো খুবই দুঃখজনক। আমাদের চারজনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করার ধরন একই রকম। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমাদের ১০ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা সহিংসতা চাই না, শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ ভোট দেবে। ভোটের অধিকার তাদের মৌলিক অধিকার। সে অধিকার তারা প্রয়োগ করবে। যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে তারা জয়যুক্ত করবে।’

‘সব দল, সব প্রার্থী, সব ভোটারসহ সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা যদি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করি, তাতে যেই ক্ষমতায় আসুক, বাংলার উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। তাহলে ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আমরা জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়তে পারব।’

আওয়ামী লীগ নির্বাচনের ফল মানবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেন মানবে না, অবশ্যই মানবে। জনগণ যে রায় দেবে, আমরা তা মাথা পেতে নেব।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটপর্ব আজ রোববার সকাল ৮টায় একযোগে শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। ৩০০ আসনের মধ্যে একজন প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে ২৯৯ আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে ২৭ জানুয়ারি।

২০০৮ ও ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা দুবার জিতে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও মহাজোট। এবার টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার জন্য লড়ছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে এক দশক পর জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ধারণা করা হচ্ছে, ভোটারদের আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে এ দুই জোটের প্রার্থীরা।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটই পুনরায় ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করবে, নাকি পরিবর্তন ঘটিয়ে বিএনপি হারানো ক্ষমতায় ফিরে আসবে—সেই প্রশ্নেরই মীমাংসা করে দেবেন ভোটাররা। যে দল বা জোটই জিতুক, তারা আগামী পাঁচ বছর দেশ শাসন করবে।