ভোট দিতে পারলে ঐক্যফ্রন্টের জয় অনিবার্য : ফখরুল
নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এবং ভোটাররা ভোট দিতে পারলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জয়ী হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘ভোটাররা যদি ভোট দিতে পারেন, তাহলে আমরা সব সময়ই বলেছি যে একটা ভোটবিপ্লব ঘটবে। সে ক্ষেত্রে ঐক্যফ্রন্টের বিজয় অনিবার্য হবে।’
আজ রোববার সকাল ৮টায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৮টা ২২ মিনিটে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের প্রার্থী মির্জা ফখরুল।
ভোট প্রদান শেষে ফখরুল বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের যে কেন্দ্র, সেই কেন্দ্রে সকাল থেকেই ভোটাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সেখানেই যাচ্ছি খোঁজখবর নিতে। নেতাকর্মীরাও সর্বদা সজাগ রয়েছেন।’
এ ছাড়া মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা চাই, ভোটাররা ভোট দিক। ভোট দিতে পারলেই তাঁরা তাদের যে পছন্দ, তাঁরা যেটা চান, তাঁদের যে আশা সেটা তাঁরা পূরণ করতে পারবেন। এবং সেখান থেকেই আমি মনে করি, গণতন্ত্রের জয় সূচিত হবে।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটপর্ব আজ রোববার সকাল ৮টায় একযোগে শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। ৩০০ আসনের মধ্যে একজন প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে ২৯৯ আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে ২৭ জানুয়ারি।
২০০৮ ও ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা দুবার জিতে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও মহাজোট। এবার টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার জন্য লড়ছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে এক দশক পর জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ধারণা করা হচ্ছে, ভোটারদের আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে এ দুই জোটের প্রার্থীরা।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটই পুনরায় ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করবে, নাকি পরিবর্তন ঘটিয়ে বিএনপি হারানো ক্ষমতায় ফিরে আসবে—সেই প্রশ্নেরই মীমাংসা করে দেবেন ভোটাররা। যে দল বা জোটই জিতুক, তারা আগামী পাঁচ বছর দেশ শাসন করবে।
এবার দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে মোট এক হাজার ৮৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যেখানে সারা দেশে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন। ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজার ১৮৩টি ও ভোটকক্ষ দুই লাখ ছয় হাজার ৭৬৭টি।