অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোটের মাঠ ছাড়লেন যাঁরা

Looks like you've blocked notifications!

অনিয়ম, কারচুপি, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ এনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে সারা দেশে একযোগে ভোট শুরু হয়। আজ ২৯৯টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকে কিছুক্ষণ সুষ্ঠু ভোট হলেও দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। তার পরই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘোষণা আসতে থাকে।

যদিও বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। বিভিন্ন সময়ে বিএনপি প্রার্থীরা স্থানীয়ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তবে বিকালের দিকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।

জামায়াত, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের শরিক। একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী দলটির নিবন্ধন হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। ফলে এবারের নির্বাচনে জামায়াত নিজস্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারেনি। তাঁরা বিএনপির ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে ছিলেন।

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের প্রতিনিধিরা ভোট বর্জনের তথ্য জানিয়েছেন :

এখন পর্যন্ত যাঁরা ভোট বর্জন করেছেন তাঁরা হলেন : খুলনা-১ বিএনপির প্রার্থী আমীর এজাজ খান ও জাতীয় পার্টির সুনীল শুভরায়, খুলনা-৩ বিএনপির প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ বিএনপির প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা-৫ জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার, সাতক্ষীরা-৪ জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম, ঢাকা-১ স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, ঢাকা-১৭ বিজেপির প্রার্থী আন্দালিভ রহমান পার্থ, সিরাজগঞ্জ-১ বিএনপির প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী কনকচাপা, সিরাজগঞ্জ-২ রুমানা মাহমুদ, সিরাজগঞ্জ-৩ বিএনপির প্রার্থী আবদুল মান্নান তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৪ জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম খান, নাটোর-২ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান সেন্টু, বাগেরহাট-৩ আসনে জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ আসনে জামায়াত নেতা মো. আবদুল আলীম, কিশোরগঞ্জ-১ বিএনপির রেজাউল করিম খান চুন্নু, কিশোরগঞ্জ-৩ ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জেএসডি নেতা সাইফুল ইসলাম।