ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মুফ‌তি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীরসা‌হেব চর‌মোনাই ।‌ ছবি : এনটিভি

ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

ওই নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি। তা না হলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে তীব্র আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

রেজাউল করীম বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের কথিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনটি ছিল শতভাগ নিয়ন্ত্রিত, নজিরবিহীন কারচুপি, জাল ভোটের ছড়াছড়ি ও ভোট ডাকাতির মহোৎসবের একটি মহড়া। দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ৪৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম পুরো প্রশাসন সরকারের পক্ষে সরাসরি মাঠ পর্যায়ে কাজ করে ভোট ডাকাতি করেছে।’

 রেজাউল করীম আরো বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি, অধিকাংশ ভোট নির্বাচনের অগের দিন রাতে সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ২৯ তারিখ রাতে পিকনিক উৎসব করা হয়েছে। আমাদের লোকেরা চ্যালেঞ্জ করলে প্রশাসন তা অস্বীকার করে। অথচ বিবিসির একটি সংবাদে বলা হয়, ৩০ ডিসেম্বর ভোট শুরুর আগেই ব্যালট বাক্স ভর্তি পাওয়া গেছে। ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা কৌশল অবলম্বন করে ভোট ডাকাতির একটি জঘন্য ও কলঙ্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ না করলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে তীব্র আন্দোলনের সূচনা করব।’

এ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-৪ আসনের প্রার্থী সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, যুগ্ম মহাসচিব এ টি এম হেমায়েতউদ্দীন, যুগ্ম মহাসচিব মাবুবুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইমতিয়াজ আলম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফজলে বারী মাসউদ, ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী আবুল কাশেম, গণমাধ্যম সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির প্রমুখ।

 একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২৯৯টি আসনে প্রার্থী দেয়।