ভোলায় আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

Looks like you've blocked notifications!

ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া চারটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আহতদের চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে চরফ্যাসন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পালোয়ান বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে।

চরফ্যাসন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, নির্বাচনের দিন একটি ছেলেকে মারধর করা হয়েছিল। আজ আবার ওই ছেলেটিকে মারতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, নির্বাচনের দিন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ছেলেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছাত্রলীগকর্মী মিরাজসহ কয়েকজন মারধর করেন। গতকাল রাতে ওই ছেলেকে আবার মারধর করতে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদসহ এলাকার লোকজন বাধা দেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। দীর্ঘ সময় ধরে চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। বিক্ষুব্ধরা চারটি মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনায় চরফ্যাসন উপজেলা মৎস্য লীগের সভাপতি সফিউল্লাহ পালোয়ানসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তিনটি মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। পরে অন্য একটি মোটরসাইকেলে আগুন নেভাতে সক্ষম হই।’

চরফ্যাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সূত্রপাত কী নিয়ে, তা স্পষ্ট নয়। তবে উভয়পক্ষই আওয়ামী লীগের সদস্য। রাত পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এ বিষয়ে এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’