খালেদা জিয়া বললেন

সাজা দিলে দেন, আমি আদালতে আর আসব না

Looks like you've blocked notifications!

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ছিল আজ। শুনানি উপলক্ষে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তাঁকে হুইলচেয়ারে করে হাজির করা হয়।

হাজিরের পরেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আদালত কক্ষে বলেন, ‘‌রাস্তা ছেড়ে দেন। এত লোক কেন? জজের সামনে এত লোক তো থাকার কথা নয়। এত লোকই যদি থাকে, তাহলে জায়গা এত ছোট কেন?’

এরপর বিচারক এজলাসে উঠতে কিছুটা সময় লাগায় বিএনপিপন্থী আইনজীবী মওদুদ আহমদসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন।

এরপর বিচারক এজলাসে ওঠেন এবং আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।

শুনানির প্রথমে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, এই জায়গায় অ্যাকোমোডেশন হয় না। এখানে অনেক কষ্ট হয়।’

তখন খালেদা জিয়া আদালতের উদ্দেশে বলেন, ‘এত লোক থাকলে তাদের বসতে দিতে হবে। আমি বলতে চাই, এ রকম সংকীর্ণ জায়গায় কোর্ট চলতে পারে না। আর যদি এই জায়গায় কোর্ট চলে, তাহলে আমি আর আসব না। যা সাজা দেওয়ার দিয়ে দেবেন। আমার লোকজন আসতে পারে না। এর আগেও আমি বলেছি এ কথা। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

তখন আদালত বলেন, ‘আগামী কোর্টে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হবে।’

বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘ব্যবস্থাই শুধু করার কথা বলা হয়, কিন্তু নেওয়া হয় না।’

বিচারক বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। আজ আমার প্রথম কোর্ট। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করব।’

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম নাইকো মামলাটি করেন।

পরে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।

অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।