ভোটের রাতে ধর্ষণ, আরেক আসামি গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতণ্ডার জেরে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে মারধর ও গণধর্ষণের ঘটনায় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ফেনী জেলার সুলতানপুর এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলার নয় নম্বর আসামি সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে আজ রোববার সকালে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সুবর্ণচরের চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন।

ওসি আরো জানান, এ নিয়ে এ মামলার আসামি ও সন্দেহভাজন হিসেবে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সালাউদ্দিনের বাড়ি সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যবাইগ্গা গ্রামে।

ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়িতে এক নারীকে মারধর ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগীর স্বামী নয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলো মো. সোহেল (৩৫), হানিফ (৩০), স্বপন (৩৫), চৌধুরী (২৫), বেচু (২৫), বাসু ওরফে কুড়াইল্যা বাসু (৪০), আবুল (৪০), মোশাররফ (৩৫) ও সালাউদ্দিন (৩৫)। এরা সবাই সুবর্ণচরের মধ্যবাইগ্গা গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বাদী উল্লেখ করেন, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ শেষে সরকারি দলের সমর্থক মোশারফ, সালাউদ্দিন ও সোহেলসহ ১০-১২ জন তার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় আসামিরা তাঁকে ও তাঁর মেয়েসহ বাড়ির অন্যদের পিটিয়ে আহত করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। পরে তারা তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে এবং পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরের দিন সকালে এলাকাবাসী এসে তাঁদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই নারী।

এরই মধ্যে এ ঘটনার ‘মূল ইন্ধনদাতা’ সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে উপজেলা কমিটি। এ ছাড়া এ ঘটনায় বেচু মিয়া, বাসু ওরফে কুড়াইল্যা বাসু, মো. স্বপন, মো. সোহেল, জসিম উদ্দিন ও  হাসান আলী বুলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল ধর্ষণের শিকার নারীকে দেখতে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এর আগে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের নেতারাও ওই নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেন।