মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা লোপাটের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!

বরিশালে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতার প্রায় চার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে এ বিষয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া বরিশালের ওই মুক্তিযোদ্ধাদের একমাসের ভাতা প্রদানে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বরিশালের জেলা প্রশাসক, তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কর্মকর্তাসহ চারজনকে এই রিটের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি  শেষে আজ রোববার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত।

এর আগে গত ২ জানুয়ারি ‘সাড়ে ৬ হাজার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা লোপাট’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বরিশালে ছয় হাজার ৪৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতার প্রায় চার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাবদ এই টাকা মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় করেছে তারা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, তাদের হাতে এই টাকা আসেনি।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গরমিলটা শুরু হয়েছে বরিশালের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে। কিন্তু জেলা প্রশাসন বলছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বাবদ প্রায় চার কোটি টাকা কম দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে বরিশালে চারজন জেলা প্রশাসক বদলি হয়েছেন। কিন্তু আজও  এই সমস্যার সমাধান হয়নি। ভাতাও বুঝে পাননি মুক্তিযোদ্ধারা। পরে ওই প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দেন।