অপহরণের পর শিশুকে হত্যা, কিশোরকে ‘ক্রসফায়ার’

Looks like you've blocked notifications!
যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় কামালপুর জোড়া ব্রিজের নিচ থেকে আজ বুধবার ভোররাতে অপহৃত শিশু তারিফের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বিল্লাল হোসেন নিহত হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে আটক এক কিশোর অভিযানের সময় কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনসার উদ্দিন আজ বুধবার সকালে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, ‘ভোরে উপজেলার নেহালপুর সড়কের কামালপুর জোড়া ব্রিজের কাছে ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে ব্রিজের নিচ থেকে কিশোর বিল্লাল হোসেনের (১৭) লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রায় একই স্থান থেকে অপহরণের পর হত্যার শিকার তারিফ হোসেনের (৯) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’

নিহত বিল্লাল উপজেলার খেদায়পুর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, শিশুদের অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করে এমন একটি পেশাদার দলের সদস্য এই কিশোর। আর শিশু তারিফ হোসেন উপজেলার গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো দাবি করেন, গত রোববার তারিফ হোসেনকে অপহরণ করে বিল্লাল। পরে সে তারিফের পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। শিশুটির দরিদ্র পরিবার কোনোরকমে এক লাখ টাকা জোগাড় করে বিল্লালের নির্দেশ অনুসারে একটি বিকাশ নম্বরে পাঠিয়ে দেয়। কেশবপুর এলাকায় বিকাশ এজেন্টের কাছে ওই টাকা নিতে গেলে পুলিশ বিল্লালকে আটক করে।

‘পরবর্তী সময়ে বিল্লালের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, তারিফকে এরই মধ্যে হত্যা করা হয়েছে। পরে গতকাল শেষরাতের দিকে তার দেওয়া তথ্য অনুসারে নেহালপুর সড়কের কামালপুর জোড়া ব্রিজের কাছে তারিফের লাশ উদ্ধার করতে যায় পুলিশ।’

কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন, সে সময় বিল্লালের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। সে সময় গোলাগুলির মধ্যে পড়ে বিল্লাল নিহত হয়। একই স্থান থেকে তারিফের লাশও উদ্ধার করা হয়।

নিহত তারিফ ও বিল্লালের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।