আ.লীগের দুইপক্ষে সংঘর্ষ, ৪ জনকে সাজা
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নওপাড়া গজারিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহত হয় কমপক্ষে ২০ জন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত চারজনকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গজারিয়া গ্রামের অর্ধেক ভাঙ্গা পৌরসভার মধ্যে। বাকি অর্ধেক হামিরদী ইউনিয়নের মধ্যে। এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজ্জাক ফকিরের সঙ্গে ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের অনুসারী আওয়ামী লীগ সমর্থক নূর মোহাম্মদের বিরোধ চলছে। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে দুই পক্ষের সমর্থকরা ঢাল-সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলতে থাকে।
এ সময় ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহত হয় কমপক্ষে ২০ জন। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানার পুলিশ ঘণ্টাখানেক চেষ্টা চালিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভাঙ্গা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পূরবী গোলদার। তিনি দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই পক্ষের চারজনকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। এঁরা হলেন গজারিয়া গ্রামের দেলোয়ার ফকির (৪৮), মানিক (৩৫), আনোয়ার ফকির (৩৫) ও নূর মোহাম্মদ (৩৮)।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, যে চারজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দিয়েছেন এর মধ্যে একপক্ষের দলনেতা রাজ্জাক ফকিরের ভাই আনোয়ার ফকির ও অপরপক্ষের দলনেতা নূর মোহাম্মাদ রয়েছে। আধিপত্য বিস্তারই এই সংঘর্ষের মূল কারণ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূরবী গোলদার বলেন, দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত থাকার কারণে দণ্ডবিধি ১৮৬০ (১৪৭) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় চারজনকে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।