কিশোরগঞ্জে শিক্ষক হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় ২০০৪ সালে হামলায় নিহত শিক্ষক সাহেদ আলী। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় শিক্ষক সাহেদ আলী (৭০) হত্যা মামলায় নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার জেলার তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহা. আবু তাহের এ রায় দেন। সাজার আদেশ পাওয়া নয় আসামিই এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আসামিরা হলেন জিনারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আমিনুল হক, রতন মিয়া, রিপন মিয়া, নূর উদ্দিন, দুলাল মিয়া, মোস্তফা, রাশিদ, আবু সাহিদ ও নূর উদ্দিন। আসামিরা সবাই উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের বীর কাটিহারি গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সহিদ মিয়া নামের এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি মোস্তাক হোসেন ও আসামিপক্ষে অশোক সরকার এ মামলা পরিচালনা করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নিহত সাহেদ আলী স্থানীয় পিপলাকান্দি গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষক ছিলেন। জীবদ্দশায় প্রায়ই তিনি ইউপি সদস্য আমিনুলের বিভিন্ন অন্যায় কার্যকলাপের প্রতিবাদ করতেন। এসব কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই শিক্ষককে নানা সময় হুমকিও দেন আমিনুল। তারই জেরে ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে পিপলাকান্দি এলাকায় আমিনুল তাঁর লোকজন নিয়ে শিক্ষক সাহেদের ওপর হামলা চালায়। সে সময় তারা ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে সাহেদকে গুরুতর আহত করে।

পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাহেদকে প্রথমে জেলা সদরে জেনারেল হাসপাতাল ও অবস্থা আরো গুরুতর হলে একইদিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থাতেই ২৪ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়।

এদিকে ওই হামলার পর ৯ এপ্রিল সাহেদ আলীর ছেলে ফরিদ মিয়া বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশে মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়।