চুয়াডাঙ্গায় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে দেশের সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ভাস্কর্য শিল্পী মৃণাল হক এই কাজটি করবেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় জানানো হয়, দেশের সবচেয়ে বড় বঙ্গবন্ধুর এই ভাস্কর্যটি ১০০ ফুট উঁচু হবে।
জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিন মিয়া ও ভাস্কর শিল্পী মৃণাল হক উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক বক্তব্য দেন। এ ছাড়াও সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উপসচিব খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াশীমুল বারী, দামুড়হুদার ইউএনও রফিকুল হাসান, আলমডাঙ্গার ইউএনও রাহাত মান্নান, জীবননগরের ইউএনও সিরাজুল ইসলাম, এনডিসি সিব্বির আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেনসহ সরকারি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য চুয়াডাঙ্গায় নাই। প্রতিটি কাজের পেছনে অর্থের দরকার। ভালো কাজটি করার জন্য যতটুকু সামর্থ্য আছে করতে হবে। এজন্য পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ব্যবসায়ীবৃন্দ, জেলা প্রশাসক ও আমি নিজে শরিক হলাম। জেলা প্রশাসক দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা এসেছি, আমরা সাহায্য সহযোগিতা করব। শুরু করেন আমরা আছি।
জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, চুয়াডাঙ্গার মুক্তিযুদ্ধের গর্বের ইতিহাস আছে। সেই ইতিহাস পর্যালোচনা করলে ইতিহাসের তেমন কিছুই নেই। আমি ৬৩তম জেলার ৬৩তম ডিসি। চুয়াডাঙ্গায় ১০০ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য নির্মাণ করা যেতে পারে। যা হবে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য। এজন্য সোনালী ব্যাংকে একটি হিসাব চালু করা হবে। ওই হিসাবে সবাই টাকা জমা দিতে পারবেন।
পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, উদ্যোগ দরকার, সাহস দরকার। জেলা প্রশাসক যে উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, শূন্য হাত নিয়ে শুরু করছেন, সবার আন্তরিক অংশগ্রহণ দরকার। শ্রম, অর্থ ও নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারি চুয়াডাঙ্গাকে। অনেকেই আসবেন জেলা প্রশাসকের গুরুত্বপূর্ণ এই কাজটি দেখতে।
ভাস্কর্য শিল্পী মৃণাল হক বলেন, পাথর, খোঁয়া, ইট, রড ও সিমেন্টের কাজ হবে। এ কাজে পাঁচ মাস সময় লাগবে। দূর থেকে দেখা যাবে। আর্কিটেক্ট এর সম্ভাব্য বাজেট দিয়েছেন ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা। শিল্পীর সম্মানী আলাদা। ৪০ থেকে ৫০ জন লোক কাজ করবে। বঙ্গবন্ধুর অধিকাংশ ভাস্কর্য আমি করেছি।