মানিকগঞ্জে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, দুজনকে কুপিয়ে জখম

Looks like you've blocked notifications!
মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের সামনে আহত ছাত্রলীগকর্মী রাজু আহম্মেদ। ছবি : এনটিভি

আধিপত্য‌ বিস্তারকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হয়েছে দুই ছাত্রলীগকর্মী। তাদের একজনকে ঢাকার জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) স্থানান্তর করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাসে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মানিকগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাপস সাহা ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিফাত কোরেশী সুমন পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আজ কলেজ ক্যাম্পাসে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ সময় তাপসপক্ষের ছাত্রলীগকর্মী রাজু আহম্মেদ ও হৃদয়কে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে প্রতিপক্ষরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী জানান, প্রথমে কলেজ ক্যাম্পাসে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে দৌড়ে কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী অধ্যক্ষের রুমের সামনে আশ্রয় নিলে সেখানেও সংঘর্ষ শুরু হয়।

আহত ছাত্রলীগকর্মীদের মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাজু আহম্মেদকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সংঘর্ষের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন তাপস সাহা ও সুমন।

সিফাত কোরেশী সুমনের অভিযোগ, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর পক্ষের অন্তত ১৫ জন কর্মীকে আহত করেছে তাপস পক্ষ। দেবেন্দ্র কলেজের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জিম্মি করে টাকা আদায় ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাপস পক্ষের বিরুদ্ধে। আজ সকালে কলেজে ছাত্রলীগকর্মী সজিবকে মারধর করে তাপসের লোকজন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

অপর দিকে তাপস সাহা জানান, সুমন ছাত্রলীগের নামে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের প্রতিষ্ঠিত করছেন। ছাত্রলীগের নামে সুমন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা কলেজে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। সে ছাত্রলীগের একক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই প্রকৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটায়।

তাপস সাহা বলেন, কলেজের সিসিটিভির ফুটেজ দেখলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে কারা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই পক্ষেরই মৌখিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভির ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। ফুটেজ দেখেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।