দল পুনর্গঠনের কথা বললেন মওদুদ

Looks like you've blocked notifications!
আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে দলের এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ছবি : এনটিভি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘এই নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে নাই। সেজন্য আজকে আমাদের যেটা প্রয়োজন, জনগণের ইচ্ছার পুনর্বাসন করতে হবে। একমাত্র উপায় হলো নতুন করে দলের পুনর্গঠন করা এবং এই কাজ এখন আমাদেরকে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে করতে হবে।’ এ সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আবারো জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনের আহ্বান জানান তিনি।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি। আলোচনায় বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের বীরত্ব, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন এবং তাঁর জাতীয়তাবাদী দর্শনসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন।

বক্তারা বলেন, শত চেষ্টায়ও জিয়াউর রহমানকে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না। এ ছাড়াও আলোচনায় উঠে আসে সমকালীন রাজনীতির নানা প্রসঙ্গ।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন আওয়ামী লীগকে জনগণের মন থেকে মুছে দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতারা বলেন, তরুণদের নেতৃত্বে দলকে পুনর্গঠন করে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। তাঁরা বলেন, ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির নৈতিক বিজয় হয়েছে আর তা নিয়েই আবারো গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নামতে হবে সবাইকে।

আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘পরাজিত বোধ করলেই পরাজিত। আজকে পরাজিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। তারা সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হয়েছে, তারা নৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে তারা জনগণ থেকে একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এই নির্বাচন একটা কাজ করেছে, আওয়ামী লীগকে মানুষের মন থেকে চিরতরে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ‘সমগ্র বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, আমাদের ভাইদেরকে মুক্ত করতে হবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। জনগণকে ভয় পায় বলেই তারা (আওয়ামী লীগ) বারবার গায়ের জোরে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে গণতন্ত্রকে ভুলুণ্ঠিত করছে।’

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘যদি দেশে এতই উন্নয়ন হয়ে থাকে, তাহলে জনগণ তাদেরকে সমর্থন করে না কেন? জনগণের সমর্থন যদি থেকে থাকে তাহলে আগের রাতে ভোটের ডাকাতির প্রয়োজন হলো কেন? এই জন্য যে বিএনপিকে তারা ভয় পায়। যদি সারা বাংলাদেশ হিসাব করেন, ৮০ ভাগ জনগণ এইবার আওয়ামী লীগের বিদায় চেয়েছে এবং বিকল্প হিসেবে বিএনপিকে ক্ষমতা দিতে চেয়েছে।’