ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একদিনে ঝরলো ৮ প্রাণ

Looks like you've blocked notifications!
গৌরিপুর বাসস্ট্যান্ডে একটি বাস পথচারীকে চাপা দিয়ে খাদে পড়ে যায়। ছবি : এনটিভি

কুমিল্লায় চারটি সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ও ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য দিয়েছে।

ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘গ্রীন লাইন’ পরিবহনের একটি বাস ভোরবেলায় ঘন কুয়াশার কারণে ইলিয়টগঞ্জ ব্রিজ এলাকায় একটি ক্যাভার্ড ভ্যানকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে বাসের সুপার ভাইজার এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে নিহত হন বাসের হেলপার।

নিহত হেলপার মানোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার কাজিকান্দার গ্রামের ইদ্রিস শেখের ছেলে এবং সুপার ভাইজার ফাহাদ আল রাজী ফয়সাল কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগ এলাকার মৃত কায়কোবাদের ছেলে।

এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টায় মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকায় একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে প্রাইভেট কারের দুই যাত্রী নিহত হন।

নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইল সদরের আশেকপুর এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির ও একই জেলার টাকুরটাকুর এলাকার আশেক আলীর ছেলে মজিবুর রহমান।

দুপুর ১টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযান যাওয়ার পথে হাইওয়ে পুলিশের রেকার চাপায় এক বেদে নারী আনছারি মণ্ডল নিহত হন।

তিনি মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর এলাকার সজীব মণ্ডলের স্ত্রী। তিনি একটি মারুতি গাড়ি থেকে পড়ে রেকারের চাকায় চাপা পড়ে মারা যান বলে স্থানীয়রা জানায়।

এছাড়া দুপুর আড়াইটায় দাউদকান্দির গৌরিপুর বাসস্ট্যান্ডে সিডিএম পরিবহনের একটি বাস পথচারী এক নারীকে চাপা দিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ওই নারীসহ বাসের আরও দুই যাত্রী নিহত হন।

নিহত দাউদকান্দির গোপচর গ্রামের খায়রুল মোল্লার স্ত্রী মহিলা নুরন্নাহার। তবে বাসে থাকা অপর দুই যাত্রী খাদের পানিতে ডুবে মারা যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত বাস যাত্রীর একজন দাউদকান্দির কুশিয়ারা গ্রামের শরীফ আলীর ছেলে মো. সুমন এবং অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।