ফরিদপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নবজাতকের মৃত্যুর পর স্বজনরা চিকিৎসকের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসকরা ওই নবজাতকের লাশ ও তার মাকে আটকে রেখেছেন।
রোগীর স্বজনরা জানান, সদর উপজেলার হাসাড়াকান্দি এলাকার মো. রিজু মোল্লা (২৫) গতকাল মঙ্গলবার তাঁর প্রসূতি স্ত্রী পলি বেগমকে (২৫) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিন রাত ৮টার দিকে তাঁর স্ত্রী ছেলেসন্তান প্রসব করেন।
রিজু মোল্লা জানান, বাচ্চাটিকে কিছুটা অসুস্থাবস্থায় শিশু ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ফিরোজ বাচ্চাটির চিকিৎসায় অবহেলা করেন। ডা. ফিরোজ তাঁর সন্তানকে চিকিৎসা না দিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করান। যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে আজ সকালে তাঁর সন্তান মারা যায়।
রিজু মোল্লা দাবি করেন, ‘চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়টি নিয়ে ডা. ফিরোজের সঙ্গে আমার কথাকাটাকাটি হয়। হাতাহাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরে ওই চিকিৎসক আমাদের আটকে রাখার হুমকি দিলে আমরা পালিয়ে যাই। চিকিৎসকরা এখনো আমার স্ত্রী ও মৃত সন্তানকে আটকে রেখেছেন।’
এ ব্যাপারে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গণপতি বিশ্বাস জানান, রোগীর স্বজনরা ডা. ফিরোজকে লাঞ্ছিত করেন। তিনি জানান, সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই নারীকে ভর্তি করা হলে বন্ড নিয়ে তাঁর অস্ত্রোপচার করলে ছেলেসন্তান হয়। বাচ্চাটি অসুস্থ থাকায় তাকে শিশু ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হলে রোগীর স্বজনরা চিকিৎসক ফিরোজের ওপর হামলা করে।
লাশ আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে গণপতি বিশ্বাস বলেন, রোগীর স্বজন এসে লাশ নিয়ে যেতে পারে। যদিও বিষয়টি সুরাহার উদ্দেশেই রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তিনি।