বরিশাল প্রেসক্লাবে বিএনপির সভায় পুলিশের নিষেধাজ্ঞা

Looks like you've blocked notifications!

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বরিশাল প্রেসক্লাবে উত্তর জেলা বিএনপির সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। আজ বুধবার বিকেল ৪টায় উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানানো হয়।

এ সময় উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশে তৃণমূলকে সুসংগঠিত করতে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন। বরিশাল জেলা বিএনপির বহু নেতা-কর্মী হজ পালনে দেশের বাইরে থাকায় তাঁরা কেন্দ্রীয় বিএনপির কাছ থেকে দেড় মাস সময় বেশি চেয়ে নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে আগামীকাল ৮ অক্টোবর বরিশাল প্রেসক্লাবের হল রুমে একটি কর্মপদ্ধতি সভার আয়োজন করা হয়। যা গত ২৪ সেপ্টেম্বর বুকিং দেওয়া হয় এবং সম্ভাব্য আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি বিবেচনা করে ৫ অক্টোবর অনুমোদন চেয়ে পুলিশের কাছে একটি আবেদনও করা হয়। সেটি তারা গ্রহণ করে।

আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, এর আগে প্রেসক্লাবের হলরুমে কোনো অনুষ্ঠান করতে পুলিশের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়নি। কারণ সেখানে সামাজিক বিভিন্ন সভা সেমিনার প্রতিনিয়ত হয়ে থাকে। তিনি বলেন, আজ বেলা ১টার দিকে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের ওই সভা না করার জন্য বলা হলে তিনি থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন। তাঁরাও একই কথা বলেন। 

আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে পুলিশের এমন আচরণ সরকারের ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। তৃণমূলকে সুসংগঠিত করার কাজ এভাবে বাধা দিয়ে বন্ধ রাখতে চাইলে সে স্বপ্ন কোনো দিনই পূরণ হবে না। বরং বিকল্প পদ্ধতিতে দলের পুনর্গঠনে বিএনপি তার রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বলেন, সরকারের এমন কর্মকাণ্ডে ঘৃণা ও ধিক্কার জানাই। বর্তমান সরকার যে ফ্যাসিবাদী সরকার তারই প্রমাণ দিয়েছে এমন কর্মকাণ্ডে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপির সহসভাপতি দেওয়ান মো. শহিদুল্লাহ, ছত্তার খানসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতারা।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, উত্তর জেলা বিএনপির নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এজন্য যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘাত হতে পারে বলে বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবের হলরুমে আয়োজন করা সভার কর্মসূচি বন্ধ করা হয়েছে। তবে অশ্বিনী কুমার হল সংলগ্ন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এই সভা করলে তা করতে পারবে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে। কিন্তু প্রেসক্লাবে সংঘর্ষ বাধলে তা নিরসনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।